গত ৯ অগাস্ট আরজি করে বিক্ষোভ কর্মসূচি করার সময় এইরকম ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন মীনাক্ষী। কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে মীনাক্ষী লিখেছেন, “আর জি কর মেডিকেল কলেজে যে নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে তার প্রতিবাদে আরজি কর হাসপাতালের সামনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছিলাম। এমত অবস্থায়, আমরা জানতে পারি যে নিহতের পরিবারের লোকেরা পুলিশের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হয়েছেন এবং পুলিশ তাদের উপর প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্তকে প্রভাবিত করছে যা নিরপেক্ষ তদন্তের পরিপন্থী। এরপর সন্ধ্যা ৭:৩০ নাগাদ আরজি কি কর হাসপাতালের মর্গ থেকে পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে তড়িঘড়ি বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমরা পুলিশকে জানাই যে নিহতের পবিবারের লোকের সাথে আমরা কথা বলতে চাই এবং জানতে চাই যে পুলিশের কেউ তাদের উপর প্রশাসনিক প্রভাব খাটাবার চেষ্টা করছে কিনা। নিরপেক্ষ তদন্ত সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এই ধরণের কোনও প্রকার প্রভাব মুক্ত রাখা জরুরি। এইসময় উপস্থিত পুলিশের একাংশ অভিষেক গুপ্তার নেতৃত্ব কোনওরকম মহিলা পুলিশের অনুপস্থিতিতে আই শৃঙ্খলা রক্ষার নামে বিনা প্ররোচনায় সচেতনভাবে ও ইচ্ছাকৃতভাবে আমায় ধাক্কা মারে, কয়েকটি সজোরে ঘুষি চালায়, মহিলা পুলিশ ছাড়াই বহু সংখ্যক পুরুষ পুলিশ আমাদের ধাক্কা দেয়, মারে।
advertisement
আরও পড়ুন: তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কেন করেছিলেন ‘ফোঁস’ মন্তব্য? বুঝিয়ে দিলেন মমতা
মীনাক্ষী চিঠিতে আরও অভিযোগ করেছেন, ঘটনার দিন তাঁকে এবং তাঁর সহযোগীদের উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে পুলিশ৷ তাঁদের শারীরিক নির্যাতনও করা হয়৷
এই বিষয়ে ইতিমধ্যে সংগঠনের তরফে একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী দিনে এই বিষয়টিকে সামনে রেখে আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে