প্রবীণ বাম নেতা রবীন দেব বলেছেন, ”এবারের ব্রিগেডের ডাক সিটু, কৃষক সভা, খেত মজুর সংগঠন ও বস্তি সংগঠনগুলি দিয়েছে। মীনাক্ষী এই সংগঠনগুলির অংশ নন। তাঁর বক্তব্য রাখার কথা ছিলও না।’ তবে, সিপিআইএমের একটি অংশের দাবি, ব্রিগেড সমাবেশের বক্তা তালিকা থেকে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েছে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নাম।
advertisement
সূত্রের খবর, আগে তালিকায় জায়গা হলেও শেষ মুহূর্তে কেটে দেওয়া হয়েছে মীনাক্ষীর নাম। রবিবারের ব্রিগেড সিপিএম তথা বামেদের শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর সংগঠনগুলি ডাক দিয়েছে। অথচ সেখানে মীনাক্ষীর জায়গা নেই, এই খবরে সিপিএমের অন্দরেই শুরু হয়েছে কানাঘুষো।
দলের একাধিক নেতা তাঁকে ‘ক্যাপ্টেন’ বললেও নিজেকে অবশ্য এখনই ‘ক্যাপ্টেন’ মনে করতে নারাজ মীনাক্ষী৷ কোনও রাখঢাক না রেখেই তিনি বারবার বলেছেন, “আমি তো ক্যাপ্টেন নই। আমাদের ক্যাপ্টেন আমাদের গঠনতন্ত্র, আমাদের আদর্শ, আমাদের নীতি।” সেই ক্যাপ্টেন এবার বক্তব্য রাখবেন না ব্রিগেডে। বামেদের ছাত্র-যুবদের মধ্যে মীনাক্ষীর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। সেই মীনাক্ষীই বক্তা তালিকায় না থাকায় মন ভেঙেছে অনেক ছাত্রযুব নেতা-কর্মীরই।
জানা গিয়েছে, এবারের ব্রিগেডের সমাবেশের বক্তা তালিকায় রয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ছাড়াও অনাদি সাহু, নিরাপদ সর্দার, বন্যা টুডু, অমল হালদার ও সুখরঞ্জন দে প্রমুখ পার্টির শ্রমিক, কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের নেতারা।