এদিন ধর্ম নিয়ে রাজনীতির প্রশ্নে তাঁকে তুলোধনা করতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপিকে৷ তবে দুর্নীতির প্রশ্নে রেয়াত করলেন না ‘ইন্ডিয়া’র শরিক তৃণমূলকেও৷ কিন্তু, এদিন গোটা বক্তৃতাজুড়ে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট করে কোনও দিকনির্দেশ বা বার্তা দিতে দেখা গেল না তাঁকে৷ এমনকি, বক্তৃতা করতে গিয়ে কবি কাজি নজরুল ইসলামের কবিতার লাইনও ভুলে গেলেন তিনি৷
advertisement
৫০ দিনে জেলায় জেলায় ২৯১০ কিলোমিটার ইনসাফ যাত্রা শেষে ব্রিগেডে আজ সমাবেশ৷ বিমান বসুর কথায় এদিনের ব্রিগেডে ‘ক্যাপ্টেন’ ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ই৷ তিনিই ছিলেন মূল মুখ৷ লাল-সাদা পতাকায় ভরা ছিল ব্রিগেডের ময়দান৷ ট্রেনে, বাসে, জলপথে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে বাম সমর্থকেরা মিছিল করে হাজির হয়েছিলেন ব্রিগেডে৷ এদিনের ব্রিগেড সমাবেশ শেষ হয় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা পড়ে৷ সেই বার্তাও পাঠ করেন মীনাক্ষী-ই৷
শহরের ৭ দিক থেকে এদিন ৭টি ব্রিগেডমুখী মিছিল এসেছিল৷ যে মিছিলে বারবার এই ব্রিগেডকে ‘মীনাক্ষীর ব্রিগেড’ বলেই উল্লেখ করছিলেন বাম সমর্থকেরা৷ শ্লোগান উঠছিল ‘মীনাক্ষীর ব্রিগেডে’ শামিল হওয়ার৷ তাঁর কাট আউট পোস্টারে ভরে গিয়েছিল শহর থেকে শহরতলি৷ এদিন ব্রিগেডের মঞ্চে মূল বক্তাও ছিলেন তিনিই। তাই ব্রিগেডের ময়দান থেকে সেই মীনাক্ষী কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে ছিল সকলেই৷
আরও পড়ুন: সাদামাঠা পোশাক, বাইকে চড়েই ব্রিগেডে! মমতার ছবির সঙ্গে মীনাক্ষীর মিলের খোঁজ অনেকের
দুপুরে দীনেশ মজুমদার ভবন থেকে ব্রিগেডের উদ্দেশে যাওয়ার সময় চড়েছিলেন দলীয় সতীর্থের মোটরবাইকে। পরনে ছিল একদম সাদামাঠা পোশাক। যে ছবি দেখে মমতার বাইকের পিছনে গন্তব্যে পৌঁছনোর ছবির সঙ্গে মিল খোঁজার চেষ্টা করেছেন অনেকেই৷
মধ্য তিরিশের আপাদমস্তক আটপৌড়ে মেয়েটার মেঠো উচ্চারণে বক্তৃতা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে চোখ টেনেছিল সকলেরই৷ ‘হট সিট’ নন্দীগ্রামের মমতা-শুভেন্দুর দ্বৈরথের মাঝখানে আলাদা করে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের পরিচিতি পেয়েছিলেন রাজ্যজুড়ে৷ যা বড় একটা কম কথা নয়৷ মূলত, সেই মীনাক্ষীর কাঁধে ভর করেই এবছরের ব্রিগেড৷ ঘরে-বাইরে তাঁকেই ‘ক্যাপ্টেন’ বলে তুলে ধরছে সিপিএম৷ ব্যানারে, কাটআউটে তাঁর উপস্থিতি সুস্পষ্ট৷