বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে মিমি বৈঠক করেন। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে নিজেই তা ঘোষণা করেছেন মিমি। জানান, তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না। শুধু তাই নয়, এদিন একগুচ্ছ অভিযোগও করেছেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলার পর মিমি বলেন, ”আমি দুই দিন আগে আমার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দিদির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু উনি এখনও সেটা অ্যাকসেপ্ট করেননি। আমার যে অভিযোগ ছিল, সেটা আমি দিদিকে জানিয়েছি। দেখি উনি কী স্টেপ নেন। কাদের কাছ থেকে বাধা পেয়েছি, সেটা আমার দলের সুপ্রিমোকে জানিয়েছি।”
advertisement
আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারতের কোথায় সবচেয়ে সস্তায় মদ বিক্রি হয়? নামটা শুনলে জাস্ট অবিশ্বাস্য মনে হবে
তাঁর কথায়, ”রাজনীতি আমার জন্য না। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি যদি কিছু বাজে কাজ করতাম বা করেছি, তাহলে তো আপনারাই সবার আগে দেখাতেন। আমি নিজের দল তো ছেড়েই দিন, অন্য দলকে নিয়েও কখনও খারাপ কথা বলিনি। তাহলে আমাকে কেন এত খারাপ কথা শুনতে হবে। আমি দিল্লিতে থাকলে বলা হয় সাংসদ তো দিল্লিতেই থাকেন, আবার কলকাতায় থাকলে বলা হবে আমি তো দিল্লিতেই যাই না। তাহলে সাংসদ করে লাভ কী হল। আমি আজ কাজ গোনাতে আসি নি। আমার এমপি ল্যাড ইউটিলাইজেশনে কার নাম নাম্বার ওয়ান আছে দেখে নিন।”
আরও পড়ুন: সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা মিমি চক্রবর্তীর! ‘দিদি গ্রহণ করেননি’! তুললেন বিস্ফোরক অভিযোগও
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা গিয়েছিল রাজনীতি ছাড়বেন দেব। তবে গত শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে সেই সিদ্ধান্তে বদল আনেন দেব। জানা যায় যে ফের ঘাটাল কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হবেন তিনি কারণ তাঁর একটি নানা আবেদন মেনে নিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপর আরামবাগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকেও হাজির ছিলেন দেব। এবার মিমির ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয় কিনা, সেটাই দেখার।