সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সাংসদ হিসেবে কাজের খতিয়ান দিয়ে মিমি লেখেন, ”আমি মিমি চক্রবর্তী। আমার জীবন অধ্যায়ের অধিকাংশ সময় অভিনয় জগতে থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু বিগত ৫ বছর, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের একজন সাংসদ রূপে যতটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্যে করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎপথে থেকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গেছি… সেই সফরের কথা মনে করলে মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়। তাই আনন্দের সাথে বিগত পাঁচ বছরের আমার সাংসদ রূপে যাবতীয় কাজের খতিয়ান আজ জনসমক্ষে তুলে ধরলাম।”
advertisement
মিমির সংযোজন, ”আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমার নেত্রী, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে, তাঁর স্নেহের হাত আমার মাথায় সর্বক্ষণ রাখবার জন্য। আগামী দিনে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, আমার কাজের মাধ্যমে আমি নিশ্চিতরূপে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় থাকব।”
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। যদিও সেই ইস্তফাপত্র এখনও গ্রহণ করেননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন মিমি। সেই বৈঠকের পরই মিমি বলেন, ”আমি পদত্যাগ করেছি। কিন্তু আমার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এবং তিনি আমায় কথা দিয়েছেন, তিনি সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নেবেন।”
আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারতের কোন শহর প্রতিদিন ৫২ সেকেন্ডের জন্য থেমে যায়! নাম আর কারণ শুনে চমকে উঠবেন
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে মিমি বৈঠক করেন। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে নিজেই তা ঘোষণা করেছেন মিমি। জানান, তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না। শুধু তাই নয়, এদিন একগুচ্ছ অভিযোগও করেছেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলার পর মিমি বলেন, ”আমি দুই দিন আগে আমার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দিদির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু উনি এখনও সেটা অ্যাকসেপ্ট করেননি। আমার যে অভিযোগ ছিল, সেটা আমি দিদিকে জানিয়েছি। দেখি উনি কী স্টেপ নেন। কাদের কাছ থেকে বাধা পেয়েছি, সেটা আমার দলের সুপ্রিমোকে জানিয়েছি।”
তাঁর কথায়, ”রাজনীতি আমার জন্য না। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি যদি কিছু বাজে কাজ করতাম বা করেছি, তাহলে তো আপনারাই সবার আগে দেখাতেন। আমি নিজের দল তো ছেড়েই দিন, অন্য দলকে নিয়েও কখনও খারাপ কথা বলিনি। তাহলে আমাকে কেন এত খারাপ কথা শুনতে হবে। আমি দিল্লিতে থাকলে বলা হয় সাংসদ তো দিল্লিতেই থাকেন, আবার কলকাতায় থাকলে বলা হবে আমি তো দিল্লিতেই যাই না। তাহলে সাংসদ করে লাভ কী হল। আমি আজ কাজ গোনাতে আসি নি। আমার এমপি ল্যাড ইউটিলাইজেশনে কার নাম নাম্বার ওয়ান আছে দেখে নিন।” এবার সেই পরিসংখ্যানই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন মিমি চক্রবর্তী।