কলকাতা লাগোয়া মহেশতলা সন্তোষপুরের ১২ থেকে ১৩ জনের পরিবারের সদস্য গিয়ে কেরলে থাকেন। তাঁদের মেয়ে ছ-মাস আগে তাঁর দাদু-দিদার কাছে কেরলে থাকতে গিয়েছিলেন। দেড় মাস আগে একটি শপিংমলে কাজ পায় মেয়েটি, বয়স ১৭ বছর। অভিযোগ, ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, গত পরশুদিন যখন সে কাজে যায়, তারপর থেকে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। কেরালা রামা নাট্যু এলাকায় তাঁরা থাকতেন। পরিবারের তরফ থেকে বাড়ির মেয়ে না ফেরায় ফেরকা থানায় অভিযোগও করা হয়। গত ২০ অগাস্ট বিকেলে মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে ফেরে।
advertisement
পুলিশে অভিযোগের প্রমাণ
মেয়েটি তার পরিবারকে জানায় শপিং মলে কাজ থেকে ফেরার সময় তাঁকে অপহরণ করা হয়। যখন তার জ্ঞান ফেরে তখন সে একটি ঘরের মধ্যে বন্দী এবং তার ঘরে প্রায় কুড়িজন লোক রয়েছে দেখতে পায়। তার অভিযোগ, তাকে বারে বারে অজ্ঞান করে গণধর্ষণ করা হয়। শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতিক চিহ্ন রয়েছে তরুণীর। বাড়িতে ফিরে সে সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা পরিবারের লোকজনকে বলে।
আরও পড়ুন: অনলাইন বা দূরশিক্ষায় ৫ বিষয় কোনওভাবেই পড়ানো যাবে না, ইউজিসির বড় নির্দেশিকা! ছাত্রছাত্রীরা জানুন
বাড়িতে জানালে, তাদেরকে মেরে দেবে এমনই হুমকি দেওয়া হয়। যদিও পরিবারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে ফেরোকা থানায় পকশো ধারায় মামলা রজু হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, এখান থেকে যেহেতু পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে গিয়েছিল তার জন্যই এই ঘটনা তাদের সঙ্গে ঘটল। পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যাঁরা কেরলে আটকে রয়েছেন, তাঁদেরকে যে করে হোক সুস্থভাবে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করেছেন তাঁরা।