বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে স্পষ্ট স্বীকারোক্তি এসেছে—হোস্টেলের বেহাল অবস্থার কথা আগেই জানা ছিল, সংস্কারের কাজ দীর্ঘদিন আটকে ছিল নানা কারণে। কিন্তু এবার আর দেরি নয়, বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, পূর্ত দফতর ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুত ভবন পরিদর্শন করে নতুন করে নির্মাণ বা সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
advertisement
বাড়িতে যদি এইসব লক্ষণ দেখা যায়, বুঝে নিন আশেপাশে সাপ আছে! বিশেষ করে যদি কুকুর এমনটা করে!
হেদুয়ার গার্লস হোস্টেলটি তিনতলা ভবন, মোট ঘরের সংখ্যা ২৫। সেখানেই থাকতেন ৭৫ জন ছাত্রী—যাঁরা মূলত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের আবাসিক। দুর্ঘটনাটি ঘটে প্রথম তলার ১৭ নম্বর ঘরে, যেখানে একজন ছাত্রী একা থাকতেন। রাতের নিস্তব্ধতায় হঠাৎই ঘরের ছাদ ভেঙে পড়ে। সৌভাগ্যবশত সেই সময় তিনি ঘরের অন্যপ্রান্তে থাকায় বড়সড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়। তবে পুরো হোস্টেলে আতঙ্কের ছায়া নেমে আসে। ৭৫ জন ছাত্রীর নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতেই সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ—ফাঁকা করে দেওয়া হয় পুরো ভবন। এখন অস্থায়ীভাবে তাঁদের স্থানান্তর করা হচ্ছে অন্যান্য হোস্টেল ও গেস্ট হাউসে।
এক ছাত্রী বলেন, “রাত ৩টের সময় আচমকাই বিকট আওয়াজ শুনি। ভয়ে আমরা বাইরে ছুটে আসি। যদি কেউ নীচে থাকত, তাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটত।” অভিভাবকরাও স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন। প্রশ্ন উঠছে—দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যার কথা জানা থাকলেও কেন আগে ব্যবস্থা নেওয়া হল না?
অভিভাবকদের মতে, কলকাতার অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হোস্টেলে এ ভাবে চাঙর ভেঙে পড়া নিছক ঘটনা নয়, এটা প্রশ্ন তোলে গোটা পরিকাঠামোর নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে। কবে ফের নিশ্চিন্তে হোস্টেলে ফিরতে পারবেন ওই ৭৫ জন ছাত্রী?