TRENDING:

Micro Finance: ঋণদানকারী সংস্থা নাকি অত্যাচারী নীলকর সাহেব! মাইক্রোফাইনান্স সংস্থার জালে জর্জরিত মানুষ

Last Updated:

Micro Finance: এই সংক্রান্ত একাধিক লিখিত অভিযোগ রাজ্যের বিভিন্ন থানায়  ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ব্রিটিশ আমলে চাষিদের জোর করে নীল চাষ করানো হতো সাহেবদের মুনাফার জন্য। চাষ হওয়ার পর তাদেরই থেকে কর আদায় করতো নীলকর সাহেবরা। সেই নীলকর বাবুরা আর নেই। সেই আমলও নেই। কিন্তু কর আদায় করার পদ্ধতি রয়েই গিয়েছে। অভিযোগ, এই শতাব্দীতে নীলকর বাবুদের জায়গা নিয়েছে দেশের বিভিন্ন মাইক্রো ফাইনান্স সংস্থা বা তাদের একাংশ কর্মী। তাদের তরফ থেকে দেওয়া ঋণের জালে জর্জরিত একাধিক আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলি। ঋণ শোধ না করতে পারায় অনেক পরিবার আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। রাজ্যের একাধিক থানায় ঋণ শোধ না করতে পারায় একাধিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ।
কর আদায় করার পদ্ধতি রয়েই গিয়েছে
কর আদায় করার পদ্ধতি রয়েই গিয়েছে
advertisement

এক পরিবারের দাবি সামান্য আধার কার্ডের মাধ্যমে গরিব এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলিকে স্বল্প নিয়ম মারফত ঋণ দিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন মাইক্রোফিনান্স সংস্থা। ঋণ দেওয়ার সময় খুব সহজ পদ্ধতিতে ঋণ মেটানোর নিয়মও বলা হচ্ছে সংস্থাগুলির তরফ থেকে। অভিযোগ, পরে অবশ্য ঋণ শোধ করার পদ্ধতি  অত্যাচারে পরিণত হচ্ছে। সংস্থাগুলি আইনি নোটিস ছাড়াই তাদের এজেন্টকে ঋণ শোধে ব্যর্থ পরিবারগুলির কাছে পাঠাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই এজেন্টরা টাকা আদায়ের জন্য সেই পরিবার গুলির বাড়িতেই বসে থাকছে। কোনও কোনও সময় এমনও অভিযোগ সামনে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন এজেন্ট বাড়িতে গিয়ে মারধর করে টাকা আদায় করেছে। এই সংক্রান্ত একাধিক লিখিত অভিযোগ রাজ্যের বিভিন্ন থানায়  ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে। কোনও কোনও ঋণ সংস্থা আবার ছোট একটি অফিস খুলে, সেই অফিস থেকে একাধিক ফোন করে নিজেদের আইনজীবী অথবা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভয় দেখিয়ে পরিবারগুলিকে মানসিক হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ।

advertisement

যদিও ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী একাধিক আইনি পদক্ষেপ রয়েছে। যেই আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে মাইক্রোফিনান্স সংস্থাগুলি নিজেদের দেওয়া ঋণ পরিবারের কাছে আদায় করতে পারবে।

জানা যাচ্ছে যে একটি মাইক্রোফিনান্স সংস্থার ঋণ শোধ করতে ঠিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলি আরও কয়েকটি মাইক্রোফিনান্স সংস্থার কাছে ঋণ তুলতে হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে মোবাইলে আধার কার্ডের নাম্বার দিলেই চড়া সুদে ঋণ দিচ্ছে মাইক্রো ফিনান্স সংস্থাগুলি। কিন্তু অভিযোগ, ঋণ শোধ করতে কিছুদিন দেরি হলেই কার্যত মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করছে এই সংস্থাগুলি।

advertisement

দেখা যাচ্ছে সমীক্ষায় এই মাইক্রোফিনান্স সংস্থাগুলি কোনওভাবেই আইনি পদক্ষেপ অথবা আইনি রাস্তায় চলছে না। নির্দিষ্ট ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তারা পরিবারগুলির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগও দায়ের করছে না। কল সেন্টারে গিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে বিভিন্ন আর্থিক এবং দুৃঃস্থ পরিবারগুলিকে।

এক ব্যাঙ্ক আধিকারিক জানাচ্ছেন যে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবার গুলিকে সরকারি ব্যাঙ্ক অথবা ডাকঘরের মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার পরামর্শ তিনি দিচ্ছেন। সরকারের একাধিক প্রকল্প রয়েছে তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সেই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার কথা জানাচ্ছেন এক ব্যাঙ্ক আধিকারিক। তার দাবি সরকারি প্রকল্প অথবা সরকারি ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরের মাধ্যমে ঋণ শোধ করতে দেরি হলেও একাধিক পদ্ধতি রয়েছে যার ফলে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির উপরে মানসিক চাপ না আসে এবং তার পাশাপাশি শোধ করার উপায় থাকে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দশমীতে রাবণ বধ! ১০১'তম বছরে 'মিনি ইন্ডিয়া'য় জ্বলল লঙ্কাধীস
আরও দেখুন

যদিও একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে সূত্রের খবর । ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে দেশের একাধিক ভুয়ো মাইক্রোফিনান্স সংস্থার নামও ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Micro Finance: ঋণদানকারী সংস্থা নাকি অত্যাচারী নীলকর সাহেব! মাইক্রোফাইনান্স সংস্থার জালে জর্জরিত মানুষ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল