আর এই বক্স জয়েন্ট করতে গিয়েই বিপত্তি। কারণ টানেলের নীচের অংশ বা ভূমি বা প্ল্যাটফর্ম ল্যান্ড কংক্রিটের করতে হবে। সেই কংক্রিটের কাজ করতে গিয়েই প্রায় ৫ মিটার খোঁড়া হয়েছে৷ আর সেখান দিয়েই ক্রমাগত জল ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে৷ এই জল ঢোকা বন্ধ করতে গিয়েই গ্রাউটিং করা হচ্ছে। গ্রাউটিং হল রাসায়নিক, সিমেন্ট আর জলের সংমিশ্রণ। সেটাই পাঠানো হচ্ছে। আর এই জল ঢোকার জন্যেই ফের নতুন করে কম্পন তৈরি হয়েছে। তার জেরেই শুক্রবার একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে মনে করছে ইঞ্জিনিয়াররা।
advertisement
আরও পড়ুন : বৌবাজারে বুকভাঙা কান্না, ভাঙা হবে ৭৩-টি বাড়ি, পরবর্তী পরীক্ষার পর সংখ্যা আরও বাড়বে
বৌবাজারের আসল রহস্য লুকিয়ে আছে দুর্গা পিতুরি লেনের কাছে তৈরি হওয়া প্রকোষ্ঠে৷ আর মাটির ৩৩ মিটার নীচে প্রকোষ্ঠের সেই মাটিতেই এখন নজর সকলের৷ একাধিক সিঁড়ি পেরিয়ে নীচে নামতেই দেখা গেল বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে গোটা অংশ জুড়ে। প্রকোষ্ঠের একদিকে রয়েছে চান্ডির তৈরি করা সেই টানেলের মুখ। অন্যদিকে রয়েছে টানেল বোরিং মেশিন উর্বির তৈরি করা টানেলের অংশ। আর এই দুই অংশের মধ্যে দূরত্ব বজায় রয়েছে ৩৮ মিটারের৷ এই ৩৮ মিটার অংশেই বানানোর কথা একটা কংক্রিটের বক্স৷ যাকে বলা হচ্ছে জয়েন্ট বক্স৷ সেই বক্স তৈরি করার আগেই মাটিতে কংক্রিটের একটা আস্তরণ বা বেস স্ল্যাব বানানো হচ্ছিল।
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোয় মদেই লক্ষ্মীলাভ! রেকর্ড ভেঙে রাজ্যে ৪৫ দিনে আয় প্রায় ৩০০০ কোটি!
নকশা অনুযায়ী বেস স্ল্যাব বানাতে গেলে বা ঢালাই করতে গেলে মাটি খোঁড়া প্রয়োজন ছিল। কারণ তিনটি স্তরের কংক্রিটের বেস স্ল্যাব বানানো হচ্ছিল। আর সেই সময়েই সুড়ঙ্গের মধ্যে ঘটে বিপত্তি। মাটির নীচ ও স্ল্যাবের পাশ থেকে ক্রমাগত জল উঠতে ও বেরতে শুরু করে। নিউজ 18 বাংলা অবশ্য সুড়ঙ্গে পৌঁছে দেখল জল বেরিয়ে আসা কার্যত কমিয়ে আনা গিয়েছে। প্রায় ১১ টি উৎসমুখ থেকে জল ক্রমাগত বেরিয়ে আসছিল। লাগাতার গ্রাউটিং করে সেই মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিমেন্ট আর রাসায়নিকের সংমিশ্রণ কার্যত উচুঁ হয়ে আছে চৌবাচ্চার দিকে থাকা টানেলের সামনে। এই স্তূপীকৃত অংশ সরানো হচ্ছে ধীরে ধীরে। তার পরেই হয়তো শুরু করা যাবে বৌবাজারে মেট্রোর টানেলের কাজ।