অঞ্জু দেবীর কথায়, "সোদপুর থেকে দমদম চলে আসছি। এবার এখান থেকে মেট্রো ধরে যাতায়াত করব। ট্যাক্সি খরচ অনেক ছিল। সেটা বাঁচাতে পারব।" তবে ই-পাস বুকিং নিয়ে এখনও তিনি অতটা সড়গড় হয়ে উঠতে পারেননি। তিনি চাইছেন এই পদ্ধতি সহজ করে দেওয়া হোক। তাহলে তাদের পক্ষে যাতায়াত করা ভীষণ সহজ হয়ে যাবে। নাগেরবাজারের বাসিন্দা সুজিত চ্যাটার্জি। পায়ে সমস্যা রয়েছে ক্রাচ নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। নাগেরবাজার থেকে কুঁদঘাট তিনি যাতায়াত করছিলেন বাসে।
advertisement
সুজিত বাবু জানাচ্ছেন প্রায় ৩ ঘন্টা যেতে লাগত। ভিড় বাসে যাতায়াত করাও একটা সমস্যা ছিল। মেট্রো চালু হয়ে যাওয়ায় তিনি সুবিধা পেয়েছেন। সুজিত বাবু জানাচ্ছেন, "শারীরিক সমস্যার কারণে ভিড় বাসে মারামারি করে যাতায়াত করতে অসুবিধা হত। চাকরি করি তাই যাতায়াত করতেই হচ্ছিল। এখন আশ্বস্ত হলাম। এবার যাতায়াত করতে পারব মেট্রোতে। আমার সুবিধা হবে।" সুজিত বাবুর ছেলে অবশ্য বাবাকে ই-পাস বুক করে দিচ্ছে।
প্রথম দিনের প্রথম মেট্রোয় এমনই টুকরো টুকরো কথা শোনা গেল। সাধারণ সময়ে কলকাতার লাইফলাইনে যা ভিড় হয়, তার চেয়ে অনেক কম যাত্রী নিয়ে ছুটল কলকাতার মেট্রো। তবে যারা সফর করলেন তারা স্বস্তি বোধ করলেন শেষ মেষ মেট্রো চালু হল।সকালের দিকে ভিড় কম হলেও, বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড় অবশ্য দেখা গেল কবি সুভাষ থেকে দমদম গামী মেট্রোয়। মেট্রো কর্তৃপক্ষ আশাবাদী আগামী দিনে মেট্রোর সংখ্যা বাড়ানো হবে। তেমনই আগের মতোই যাত্রীদের আগ্রহ বাড়বে কলকাতা মেট্রো নিয়ে। অফিস টাইমে ভিড় দেখায় খুশি মেট্রো।