TRENDING:

বউবাজার আতঙ্ক! 'আমরা বাড়ি ছাড়ব না,' মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বললেন চৈতন সেন লেনের বাসিন্দারা

Last Updated:

একযোগে তাঁরা বলেন, বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবেন না। এখানকার বাসিন্দা রথীন ভৌমিক। কাঠের আসবাব তৈরির কাজ করেন। যদিও প্রায় ১০ দিন হয়ে গেল তিনি পরিবার সহ ঘরছাড়া।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: চৈতন সেন লেনের ফাটল ধরা বাড়ি দেখতে গেলেন জন ইন্ডিকট।  সঙ্গে ছিলেন কে এম আর সি এলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বনাথ দেওয়ানজি। বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে কথা বলার সময় বাসিন্দাদের ক্ষোভ আঁচ করতে পারেন তাঁরা। চৈতন সেন লেনের বাসিন্দারা অবশ্য পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তাঁরা বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবেন না৷
advertisement

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ চৈতন সেন লেন পরিদর্শনে আসেন জিও টেকনোলজিস্ট জন ইন্ডিকট। গত অগাস্টে বউবাজারে একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনার পরে জন ইন্ডিকটের সাহায্য নেওয়া হয়। মূলত তাঁর সাজেশন নিয়েই চলছে কাজ। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৮০ মিটার করে কাজ হবে, তারপর বন্ধ রাখা হবে কাজ। টানেল বোরিং মেশিন পরীক্ষার পরে ফের শুরু হবে।

advertisement

রবিবার থেকে ফের সেই কাজ শুরু হবে। তার আগে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করার কাজ করছিলেন। সেই সময়েই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একযোগে তাঁরা বলেন, বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবেন না। এখানকার বাসিন্দা রথীন ভৌমিক। কাঠের আসবাব তৈরির কাজ  করেন। যদিও প্রায় ১০ দিন হয়ে গেল তিনি পরিবার সহ ঘরছাড়া।

advertisement

তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'আমার প্রায় ৪৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। আর কতদিন বাড়ি ছেড়ে থাকতে হবে তা জানি না। আমাদের কাছে সত্যি কথাটা অন্তত বলা হোক।' কবে বাড়ি ফেরা যাবে তা নিয়ে এদিন ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে। একই অভিযোগ শোভন দত্তের। এদিন তিনিও বলেন, "যে বাড়িতে আছি, সেটাকে নিরাপদ করে দিক মেট্রো। নাহলে বাড়ি ভেঙে গেলে যাবে। এই বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাব না।"

advertisement

চৈতন সেন লেনের বাসিন্দাদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, তাঁদের হয়তো বাড়ি ছেড়ে, চেনা পাড়া ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে হবে। যদিও এমন কিছু হবে না বলেই এদিন বাসিন্দাদের জানিয়েছেন কে এম আর সি এল আধিকারিকরা।

তবে আশঙ্কার মধ্যেও আশায় আছেন এই লেনের বেশ কিছু মানুষ। কলেজ স্ট্রিটে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবসা করেন সুদেষ্ণা দত্ত। তিনি বলেন, "এত বড় একটা প্রকল্পের কাজ চলছে। কোথাও কোথাও ছোট ছোট সমস্যা আসতেই পারে৷ আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে। নতুন করে আমাদের আর কোনও বিপদ হবে না।"

advertisement

যদিও এদিন সুদেষ্ণার বাড়ির সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, তাদের বাড়ির ফাটল চওড়া হচ্ছে। শনিবার অবশ্য বিভিন্ন বাড়িতে শুরু হয়েছে ফাটল মেরামতের কাজ। কে এম আর সি এল সেই কাজ করে দিচ্ছে। আস্তে আস্তে সব বাড়িতেই সেই কাজ করে দেবেন বলে তারা জানিয়েছেন। তবুও আশা আশঙ্কার দোলাচলে রয়েছেন চৈতন সেন লেনের বাসিন্দারা।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
বউবাজার আতঙ্ক! 'আমরা বাড়ি ছাড়ব না,' মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বললেন চৈতন সেন লেনের বাসিন্দারা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল