কলকাতায় বৃষ্টির জেরেই মূলত চিন্তা বাড়ল কেএমআরসিএলের। গ্রাউটিংয়ের মাত্রা বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে। এখনও বন্ধ হয়নি জল ঢোকা। তার মধ্যে বৃষ্টির জল ঢুকছে। এর ফলে সমস্যা বাড়ার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাকা দিলেই সব হবে, চাকরি দেওয়াই শুধু নয়, মানিকের বিরুদ্ধে ফের মারাত্মক প্রমাণ ইডির হাতে
advertisement
শুক্রবার ভোররাতে দুর্গা পিতুরি লেনের পাশের গলি মদন দত্ত লেন ও বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। কেএমআরসিএলের কাজের জন্য ফাটল বলে অভিযোগ। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। এলাকা খালি করে দিতে আবেদন জানাচ্ছেন উপস্থিত পুলিশকর্মীরা।
আবার যেন ফিরে আসছে সেই দুঃস্বপ্নের প্রহর৷ অথবা দুঃসময় যেন ছাড়তেই চাইছে না বউবাজার, দুর্গা পিতুরি লেনকে৷ শুক্রবার ভোরে ফের ফাটল বউবাজারের একাধিক বাড়িতে বলা হয়েছিল, পুজো মিটলেই কাজ শুরু হবে। সেই মোতাবেক কাজ শুরুও হয়েছিল। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে কেমিক্যাল গ্রাউটিংয়ের কাজ চলছিল। সেই সময় শুক্রবার ভোর চারটে নাগাদ ফের জল ঢোকে। যে বক্স বা চৌবাচ্চা করা আছে সেখানেই জল ঢোকে এবং এখনও পর্যন্ত জল ঢোকা বা বেরনো বন্ধ করা যায়নি। মনে করা হচ্ছে এই কারণেই ফের নতুন করে ফাটল ধরেছে।
আরও পড়ুন: অস্বস্তিতে তৃণমূল, সুদীপ-তাপস দ্বৈরথ থামার কোনও লক্ষণ নেই
২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট, বউবাজারের বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বউবাজার স্ট্রিট, দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দারা ঘরছাড়া হয়েছিলেন। মেট্রো রেলের কাজের জন্য একের পর এক বাড়িতে বিশাল ফাটল ধরে। হেলে পড়েছিল বাড়ি। আতঙ্ক, ভয়ে ঘরছাড়া হয়েছিলেন অনেকেই। ফের সেই একই বিপর্যয় ঘটেছে। বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাসিন্দাদের দাবি, 'আতঙ্ক নিয়েই গত ২ বছর ৯ মাস ধরে কাটাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়ি কাঁপত, উপায় ছিল না। বারবার মেট্রো রেলকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।সামনেই মেট্রো রেলের এই সংক্রান্ত একটি অফিস রয়েছে, সেখানেও গিয়ে কোনও লাভ হত না। সব কিছুর জন্যই মেট্রো দায়ী।'
ABIR GHOSHAL