অভিযোগ, ওই দোকান থেকে একাধিক মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ মিলেছে৷ যা ক্রেতাদের বিক্রি করার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ এর পাশাপাশি ওষুধ সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও ওই দোকান কর্তৃপক্ষ কোনও নিয়ম মানেনি বলে অভিযোগ৷
আরও পড়ুন: স্কুলে যেতে পারবেন চাকরি হারানো যোগ্য শিক্ষকরা? ব্রাত্যর জবাবে কাটল না ধোঁয়াশা
লোকনাথ মেডিক্যাল নামে ওই ওষুধের দোকানটি ফুলবাগান থানা এলাকায়৷ একাধিক অনিয়মের অভিযোগে সম্প্রতি ওই দোকানে হানা দেন ড্রাগ কন্ট্রোলের চারজন ইনস্পেক্টর৷অভিযোগ, অভিযান চলাকালীন দোকানের ফ্রিজের ভিতর থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়৷
advertisement
আরও গুরুতর অভিযোগ, পাইকারি ওষুধ বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে ওই দোকানে খুচরো ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছিল৷ হাসপাতালে সরবরাহ করার কথা যে সমস্ত ওষুধের, সেগুলিও দোকানে খুচরো বিক্রির জন্য রাখা হয়েছিল৷ শুধু তাই নয়, যে সমস্ত ওষুধ ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা অথবা কোল্ড স্টোরেজে রাখার কথা, সেই সব ওষুধও বাইরে রাখা হয়েছিল৷ নিয়ম অনুযায়ী, অভিযানের সময় দোকানে কোনও ফার্মাসিস্টও ছিলেন না৷
একাধিক অভিযোগের সত্যতা মেলায় ফুলবাগান চত্বরের অন্যতম বড় ওই ওষুধের দোকান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ বাতিল করা হয়েছে ওষুধ বিক্রির লাইসেন্সও৷ সূত্রের খবর, রাজ্যের বহু ওষুধের দোকানেই এই ধরনের অনিয়ম রয়েছে৷ জাল ওষুধের চক্র সামনে আসার পর ওষুধের দোকানগুলির অনিয়ম রুখতেও এবার তৎপর হচ্ছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল৷