এমবিবিএস-এর জন্য সাড়ে ৪ বছরের মূল পাঠ্যক্রম এবং ১ বছরের ইন্টার্নশিপ প্রয়োজন। এর মধ্যে মূল পঠনপাঠনের সাড়ে চার বছরকে এক, এক এবং আড়াই বছর বা ৩০ মাসে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম এক বছরকে ফার্স্ট এমবি বা ফার্স্ট প্রফেশনাল, দ্বিতীয় বছরকে সেকেন্ড এমবি বা সেকেন্ড প্রফেশনাল এবং বাকি ৩০ মাস বা থার্ড প্রফেশনালকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পার্ট ১ হল ১২ মাসের, পার্ট ২ হল ১৮ মাস বা দেড় বছরের। যদিও থার্ড প্রফেশনাল বা ফাইনাল এমবি-র দ্বিতীয় পর্বকে নেক্সট পরীক্ষার জন্য ধরেই রাখা হয়েছে নয়া পাঠ্যক্রমে।
advertisement
এদিকে আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে নেক্সট সংক্রান্ত নিয়মকানুন প্রকাশিত হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। নয়া গাইডলাইন অনুযায়ী একথা স্পষ্ট, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে নেক্সট হচ্ছেই। থিয়োরি এবং প্র্যাকটিক্যাল মিলিয়ে ৭৫০ করে নম্বর থাকছে। থার্ড এমবি’র (১৪টি বিষয়) প্রথম পার্টে থাকছে ৪৫০ নম্বর। নেক্সট চালু না হওয়া পর্যন্ত সেকেন্ড পার্টে ছিল ৯০০ নম্বর। (এটাই হতে চলেছে নেক্সট পরীক্ষা)। এই প্রতিটি পর্বের পরীক্ষাতেই থিয়োরি এবং প্র্যাকটিক্যালে পৃথকভাবে পেতে হবে ৫০ শতাংশ নম্বর। তবেই তিনি পাশ। ৭৫ শতাংশ পেলে তবে অনার্স । প্রতিটি পরীক্ষায় ৫ করে গ্রেস ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে।
যদি কোনও হবু ডাক্তার যে-কোনও পেপারে ১, ২, ৩ নম্বর করে বা সবক’টি মিলিয়ে ফেল করার পরিস্থিতি হতো, বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে পরিস্থিতি অনুযায়ী (একটিতে ৫ বা সেই নম্বর ভাগ করে) গ্রেস দিয়ে তাদের পাশ করাতে পারত। এমবিবিএস পঠনপাঠনের নয়া নিয়মনীতি অনুযায়ী সেটি আর হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, প্রতিটি প্রফেশনালেই কমবেশি ৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রীকেই গ্রেস দিয়ে পাশ করাতে হয়। শেষ ফাইনাল এমবি পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার ছাত্রছাত্রী। গ্রেস দিয়ে পাশ করেছেন ১০০ জন।