এই মামলায় সিবিআই তদন্তে আপত্তি জানায় রাজ্য। রাজ্যের এজি আদালতের সামনে কিছু তথ্য তুলে ধরেন। ওই তথ্যগুলিও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। মামলাকারীর আইনজীবীকে বিচারপতি নির্দেশ, অবিলম্বে এই মামলায় সিবিআইকে যুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে বিরাট পদক্ষেপ রাজ্যের! করা হল ‘বহিষ্কার’
advertisement
বিচারপতি জানান, এই নির্দেশনামা দুপুর আড়াইটার মধ্যে সিবিআইকে দিতে হবে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে। রাজ্যের উদ্দেশ্যে বিচারপতির মন্তব্য, ”শাহজাহানকে আপনাদের পুলিশকে গ্রেফতার করতে পেরেছে? এই রাজ্য কয়েক জন দুর্নীতিগ্রস্তদের আখড়ায় (হাবে) পরিণত হয়েছে। এত সব কিছুর পরে পুলিশের কোনও সদর্থক ভূমিকা চোখে পড়ছে না। তাই এ রাজ্যের পুলিশ কর্তৃপক্ষের উপর এই আদালতের কোনও আস্থা নেই। ফলে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া যথাযথ বলে আদালত মনে করছে।”
আরও পড়ুন: হেলমেট, লাঠি, কাঁদানে গ্যাস…২৫ গাড়িতে ১২৫ জন CRPF! এবার সব প্রস্তুতি নিয়েই শাহজাহানের বাড়িতে ইডি
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই মামলাটি চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে আবার যেতে পারে। তাই রাজ্যের কাছে আমি আশা করব এখনও পর্যন্ত সিবিআই তদন্ত আটকাতে কত টাকা খরচ করা হয়েছে তা তারা জানাবে। ইতিশা সোরেন মামলায় এই নির্দেশ দেন বিচারপতি।
তফসিলি উপজাতি (এসটি) না হওয়া সত্ত্বেও অনেক পড়ুয়া ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছেন। ওই কলেজের তালিকায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের নাম রয়েছে এমবিবিএস কোর্সের ভর্তিতে ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহারের অভিযোগ।
মামলাকারী আদালতে ৫০ জনের নাম জমা দেন। তাঁর বক্তব্য, ওই ৫০ জনের শংসাপত্র খতিয়ে দেখা হোক। ৫০ জনকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
গত বছর ১৬ অক্টোবর রাজ্যের স্ক্রুটিনি কমিটিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জানান, ওই কমিটিকে বিষয়টি নিয়ে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শুনানি সম্পন্ন করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর রাজ্য জানায়, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১৪ জন প্রার্থীকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। যাঁরা ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করেছেন। শূন্যপদ থেকে তাঁদেরকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার মধ্যে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে একজন ভর্তি হয়েছেন।
দু’সপ্তাহের মধ্যে ওই ১৪ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে তদন্তের নির্দেশ দেনও বিচারপতি।