সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব। তিনি দেখেন, নতুন আউটডোর বিল্ডিংয়ের গেটের আশপাশে আবর্জনা এবং আউটডোর চত্বর অপরিচ্ছন্ন, যেখানে-সেখানে পড়ে রয়েছে পান গুটখার পিক
এসব দেখে চটে লাল স্বাস্থ্য সচিব। মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে থাকাকালীন এই বিষয় কোনো কথা না বললেও পরদিনই স্বাস্থ্যভবনে ডেকে পাঠান অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস এবং এম এস ভি পি অঞ্জন অধিকারীকে।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘প্রথমে ইডি ঢুকেছে, তারপর বিজেপি…,’ সন্দেশখালি নিয়ে ফের বিস্ফোরক মমতা!
সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার কর্তারাও। নারায়ণ স্বরূপ নিগম কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তাদের সাফ জানিয়ে দেন, এই ধরনের অপরিচ্ছন্নতা বরদাস্ত করা হবে না।
হাসপাতালের আউটডোর ভবন সংলগ্ন জায়গায় সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত সব থেকে বেশি ভিড় থাকে। রোগীদের লম্বা লাইন পড়ে। আউটডোর ভবনের এক তলায় গিজগিজ করে লোক। অসুস্থতার জেরে বাইরেও বসে পড়েন কেউ কেউ।
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হওয়ায় অনেকেই সেখানে বসে খাওয়া দাওয়া করেন। স্বভাবতই নোংরা হয়ে থাকে গোটা চত্বর। স্বাস্থ্য সচিবের ভৎসনায় ঘুম ভাঙে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের।
কলকাতা পুরসভার বেশ কিছু কর্মী রাস্তা পরিষ্কারের দায়িত্বে রয়েছেন। তবে তাঁদের অধিকাংশকেই হাসপাতাল চত্তরে বেশিক্ষণ দেখা যায় না। তখন সুপারভাইজারকে তলব করা হয়।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, রোজ পুরসভার ২০ জন সাফাই কর্মীর এখানে থাকার কথা। কিন্তু তাঁদের মধ্যে মাত্র চার-পাঁচজনকে প্রয়োজনের সময় পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- আধার কার্ড বাতিল হলেও মিলবে সরকারি পরিষেবা! কী করতে হবে এবার, জানিয়ে দিলেন মমতা
কর্তৃপক্ষ সুপারভাইজারকে জানিয়ে দিয়েছে, হাসপাতালে আবর্জনা পড়ে থাকলে এবার সাফাই কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁদের প্রতিদিন হাসপাতালে আসতে হবে। এই সাফাই কর্মীদের চিহ্নিত করতে আলাদা পোশাক করার পরিকল্পনা নিয়েছে।