২০১৮ সালে ভাগাড় কাণ্ড নিয়ে রাজ্য উত্তাল হয়ে ওঠে। সেই সময় অভিযানে নামে একাধিক পুরসভা।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে প্রথম অভিযোগ ভাগাড়ের মাংস বাণিজ্যিক ভাবে হোটেলে, রেস্টুরেন্টে বিক্রি করার। ভাগাড় কাণ্ডে আড়ালে পচা, নিম্ন গুণমানের মাংস, মাছ বিক্রির অভিযোগ ওঠে। একাধিক হোটেল, রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে অভিযান চলে৷ প্রচুর পরিমানে ধরপাকড় চলে। বাদ যায়নি বনগাঁ পুরসভা। ৫ মে ২০১৮ পুর অভিযানে নামে বনগাঁ পুরসভা সঙ্গে পুলিশ। বনগাঁ শহরের দুই নামী রেস্টুরেন্ট wi fi এবং মাকালী হোটেল থেকে পচা মাংস ও মাছ উদ্ধার করা হয়
advertisement
৬ কেজি পচা মাংস ও ৩ কেজি পচা মাছ উদ্ধার করে পুলিশ। মাছ ও মাংস বিষাক্ত বলে দাবি করা হয় তদন্তে৷ এরপর বনগাঁ পুলিশের তদন্তে রায় ঘোষণা হয় ২০১৯ জুন মাসে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭২ ও ২৭৩ ধারায় রায় ঘোষনা করে বনগাঁ আদালত। তাতেই ২ জনকে দোষী এবং বাকিদের মুক্ত করে নিম্ন আদালত৷
কোন পথে খারিজ নিম্ন আদালতের রায়
মামলাকারীর আইনজীবী অঞ্জন ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, ১) পুলিশের তদন্তে তথ্য প্রমাণাদির শৃঙ্খল স্পষ্ট হচ্ছে না। কিছুু জায়গায় তদন্তে ধোঁয়াশা আছে। ২) পুলিশের তদন্তে একাধিক খুঁত রয়েছে। ৩) পচা মাংস রান্না করা হলে সেই খাবার খেয়েছেন এমন কোনও ক্রেতার জবানবন্দি নেই যেখানে তিনি বলছেন খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন। তিনিই জানান,
আমাদের এই যুক্তি গুলিকে মান্যতা দিয়েছে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এমন পর্যবেক্ষণে ভাগাড় কাণ্ডের মামলাগুলির ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। হোটেল ও রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে অসুস্থ কেউ অভিযোগ না করলে বা তাদের বয়ান না নিতে পারলে তদন্তে ফাঁক থেকেই যাবে।