ভাগাড় থেকে মৃত পশুর দেহ তুলে প্যাকেটে ভরা হত। তারপর সরবরাহ করা হত কলকাতার বিভিন্ন হোটেলে। ভাগাড়ে মৃত পশু ফেলা হয়েছে খবর পেলেই কাজে নামত চারজনের চক্র। এদিন সেই কাজে গিয়েই স্থানীয় মানুষের হাতে ধরা পড়ে যায় চক্রের ২ সদস্য শ্যামলাল ও রাজা মল্লিক। রাজা বজবজ পুরসভার কর্মী। তবে দলের পান্ডা নিমাই ও সানি পলাতক।
advertisement
বজবজ পুরসভার ভাগাড় থেকেই মরা পশুর মাংস প্যাকেটে ভরে পৌঁছে যেত কলকাতার হোটেলে। প্রায় প্রতিদিনই দুপুরে আসত সাদা ট্যাক্সি। ডিকিতে তোলা হত হত মাংস। কোথায় যায়? কী হয়? বৃহস্পতিবার স্থানীয় মানুষ একটু সক্রিয় হতেই ফাঁস হল মাংস চক্রের কারবার।
ভাগাড়ে মরা পশু ফেললেই বাকিদের খবর দিত পুরকর্মী রাজা মল্লিক ৷ মাংস কেটে প্যাকেটে ভরত নিমাই ও সানি ৷ ড্রাইভার শ্যামলাল তা বিভিন্ন হোটেলে পৌঁছে দিত ৷
গাড়িতে মাংস পাচারের সময় ২ জনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা ৷ ডিকি খুলে বের করা হয় মাংস ৷ শুরু হয় মারধর। স্পষ্ট হয়, বেশ কিছুদিন ধরেই এই কাজ চালাচ্ছে চারজনের চক্র। এদের মধ্যে একজন বজবজ পুরসভার কর্মী। দুজন গ্রেফতার হলেও বাকিরা ফেরার।
