পাশাপাশি বিচারপতি নির্দেশ, যে সব ভক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের জামিনে ছাড়তে হবে। তাঁরা তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে সপ্তাহে দুদিন দু ঘণ্টার জন্য দেখা করবেন।তবে জেলা ছেড়ে যেতে পারবেন না। মন্দির ও চাঁদপারা হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে।১৮ জুলাই তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে তদন্তকারী অফিসারদের।
advertisement
ঠাকুরনগরে এই গন্ডগোলের সূত্রপাত গত ১১ জুন। শান্তনু ঠাকুরের আইজীবীর কোর্টে সওয়াল করেন, ওইদিন আগাম কোনও কিছু না জানিয়ে পাঁচ হাজার পুলিশ মতুয়া মন্দিরে যায়। আইনজীবীর বক্তব্য সেখানে তখন রথের জন্য মিটিং চলছিল। বহু ভক্ত ছিলেন সেখানে। তাই সভাধিপতি ঠাকুর তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। পুলিশ উল্টে মারধর করে। ভক্তদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। স্থানীয় ব্লক হাসপাতাল তাঁদের চিকিৎসা করতে অস্বীকার করে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন আইনজীবী।
পুলিশ পাঁচটি FIR করে। একটি মামলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ-সহ পুলিশের কাজে বাধা দানের অভিযোগ আনা হয়। প্রায় সব মামলার বয়ান একই। শুধু বিভিন্ন নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রায় একই সময়ে, একইদিনে। পাঁচ নম্বর এফআইআর স্থানীয় বিএমওএইচ করেন। মন্দিরে গোলমালের এক ঘন্টা পরেই বিএমওএইচ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারীদের আইনজীবীর বক্তব্য দুদিন পরে তাঁরা জামিন পান। সেই মামলায় জামিন পেতেই নতুন মামলায় পুলিশ তাদের অ্যারেস্ট করে। এখন তারা পুলিশি হেফাজতে।
আরও পড়ুন: রেলের বড় আপডেট! বাড়ছে অনেক সুবিধা, জেনে নিন বিস্তারিত
থানা অভিযোগ না নেওয়ায় ১৩ জুন ডিজির অফিসে অভিযোগ জানান অভিযোগকারীরা। কিন্তু সেই অভিযোগে কোনও এফআইআর হয়নি। শান্তনু ঠাকুর এই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্তের আবেদন জানান। সেই সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার কথাও বলেন। ডিজিকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়েও সওয়াল করেন শান্তনু ঠাকুরের আইনজীবী। অন্যদিকে এজির সওয়াল, দুটি ঘটনা ঘটেছে দুই জায়গায়। ঠাকুর বাড়ি ও হাসপাতালে। তিনজন মহিলা শ্লীলতাহানি হয়েছে তাই তিনজন অভিযোগ করেছেন। আবার হাসপাতালে অশান্তির জন্য হাসপাতাল অভিযোগ করেছে। মন্দিরে ভক্তদের দুটি দলের মধ্যে গোলমাল।