২০১৯ এর লোকসভা ভোটে বনগাঁ আসনে জয় ছিনিয়ে আনতে বিজেপির হাতিয়ার ছিল মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। সিএএ কার্যকর করে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে বলে দাবি করে বিজেপি। কিন্তু, ভোট বড় বালাই। আর, নাগরিকত্ব বিল আইনে পরিনত হলেও, তা নিয়ে ধ্বন্দ কাটে নি মানুষের। বরং, বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে এসে পড়েছে পুরভোট। আর, তা শুরু হবার আগেই, বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় আর অমিত শাহ-রা।
advertisement
বনগাঁ আর রানাঘাট লোকসভার অধীনে থাকা মোট ২৭টি পুরসভার ভোট হবে চলতি বছরে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১১-তে ক্ষমতায় এসে ২ টাকা কিলো চাল দিয়ে জঙ্গল মহলের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছিলেন মমতা। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটেও পাহাড়, জঙ্গল মহল হেসেছিল। কিন্তু, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে তা দিয়ে নিবাচনী বৈতরনী পেরনো যায় নি। নাগরিকত্বের আইনী স্বীকৃতির বিনিময়ে রাজ্যের দেড় কোটি মতুয়া, বনগাঁ ও রানাঘাটের মত লোকসভা আসন উপহার দিয়েছে বিজেপিকে। তাই রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ককে নিজেদের দখলে রাখতে হলে, শুধু সিএএ দিয়ে চিঁড়ে ভিজবে না, বিলক্ষন বুঝছে বিজেপি। সে কারনেই বিধানসভার সেমিফাইনাল পুরভোটের আগে তৃণমূলের দেখানো পথেই ডোল রাজনীতেতে ফিরল বিজেপি।
বনগাঁ ঠাকুরনগরে আগত মতুয়া ভক্তদের জন্য এই ছাড়ের আর্জি জানিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারী চিঠি দেন শান্তনু। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী জবাবি চিঠিতে এ বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ করার কথা জানিয়ে শান্তনু ঠাকুরকে চিঠি পাঠয়েছেন রেলমন্ত্রী পিযূষ গয়াল।
ARUP DUTTA