উদ্বোধনের পর থেকেই বিপর্যয় পিছু ছাড়ছে না উল্টোডাঙা উড়ালপুলে। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি উল্টোডাঙ্গা উড়ালপুলের উদ্বোধন করে তৎকালীন শাসক দল বামফ্রন্ট। দু'বছর পার না হতেই বিপর্যয়ের শুরু উড়ালপুলে। ২০১৩ সালে বাইপাস যাওয়ার লেনের গার্ডার ভেঙে খালের উপর ছিটকে পড়ে।
আবার বিপর্যয়ের আশঙ্কা। এবার আতঙ্কের ফাটল কাজী নজরুল ইসলাম সরণির দিকের লেনে। ভিআইপি রোডের যেখানে রাস্তায় মিশেছে উড়ালপুল, ঠিক তার কিছুটা আগেই উড়ালপুলের উপর ও ধারে পিলারের গায়ে বড় ধরনের ফাটল। গাড়ি চালকদের বিষয়টি নজরে আসে প্রথমে। এক ব্যক্তি এই ঘটনা ফেসবুক লাইভ করে তুলে ধরেন।
advertisement
আরও পড়ুন- Kolkata Metro || কেলেঙ্কারি! নোয়াপাড়ায় খুললই না মেট্রোর দরজা, চালক মদ্যপ? প্রশ্ন যাত্রীদের
সেই ভিডিওতে ততটা সাড়া না পড়লেও ঘোলাঘাটার ইউটিউবার প্রিন্স জালু রবিবার তাঁর ব্লগে এই উড়ালপুলের ফাটল আপলোড করতেই ছড়িয়ে পড়ে নেট মাধ্যমে। এর পরেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়তে থাকে।
ইউটিউবার প্রিন্স জালু বলেন, অনেকদিন ধরেই হালকা ফাটলের কথা শুনছিলাম। রবিবার এই উড়ালপুলের অনেক জায়গায় ঘুরে দেখি নির্দিষ্ট একটি পিলারে ফাটল অনেক চওড়া। আর একমাত্র এই পিলারেই একেবারে উড়ালপুলের উঁচু অংশ বা গার্ডারের এলাকা থেকে একেবারে নিচু অংশ পর্যন্ত ফাটলের দাগ।
বিষয়টি বুধবার সকাল থেকে সংবাদ মাধ্যমে দেখানো শুরু হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল সাইটে বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার কেএমডিএ আধিকারিক, ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসে জানান, এই ফাটল বিপদজনক নয়।
এর আগে উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় ফাটলের মেরামতির কাজ হয়েছিল, সেখানেই সেই কাজের উপর ফাটল হয়েছে। এই ফাটল থেকে মূল উড়ালপুলের ব্রিজের কোনো আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- Eco- Friendly Bus || সিএনজির অভাব, কমছে পরিবেশবান্ধব বাসের যাত্রা
১১ বছর আগে চালু হয় এই উড়ালপুল। ২০১৩ সালে ইএম বাইপাস-গামী একটি গার্ডার ভেঙে পড়েছিল। ত্রুটিপূর্ণ বিয়ারিংয়ের কারণে ভিআইপি রোড-গামী আর্মের একটি পিয়ারে ফাটল তৈরি হল।
কেএমডিএ সূত্রে খবর, দুটি ফাটল লক্ষ্য করা গেছে। ভিআইপি রোডের দিকে যে অংশ তাতে একটি ইটের দেওয়াল এবং অ্যাবুটমেন্টের মধ্যে, আরেকটি পিয়ার অংশ এবং গার্ডারের উপরে।
ফাটলটি খুব ছোট নয়। ফলে গাড়ি চলাচল করার ক্ষেত্রে খুব বিপজ্জনক হতে পারে কিনা দ্রুত খতিয়ে দেখা উচিত বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
কেএমডি এর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে আধিকারিক ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠিয়ে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা যেমন বলবেন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিকভাবে গরমের সময় দুটি গার্ডারের মাঝে দূরত্ব রাখা হয় যান চলাচলের সুবিধার জন্য।