বাস সংগঠনের দাবি, দিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের সংস্পর্শে আসেন বাসের চালক ও কন্ডাক্টররা। একদিকে যেমন রাস্তার ধুলো, তেমনি নানা ধরণের ভাইরাস তাদের শরীরে প্রবেশ করে। বিশেষ করে সাবধানে থাকতে হয় কন্ডাকটরদের। কারণ বেশি সংখ্যক লোকের সাথে তাদের সংস্পর্শ ঘটে। ফলে ইউনিয়ন আশংকা করছে তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
advertisement
এদিন সকাল ১১টা থেকে বিভিন্ন বেসরকারি বাসের চালক ও কন্ডাক্টরদের মাস্ক পড়িয়ে দেন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সদস্যরা। যদিও বাস চালক ও কন্ডাক্টররা এতে কতটা সচেতন হবেন তা নিয়ে সংশয় আছে। ২১৪ নম্বর রুটের এক চালক বলেন, "সারাদিন ধরে রাস্তায় যত বার যানজটের মধ্যে আমাদের পড়তে হয় তাতে আর ভাইরাস না ব্যাকটেরিয়া তা মনে রাখতে পারিনা। তবে খবরে শুনেছি ভাইরাসের কথা, তাতে মাস্ক ব্যবহার করলে সুবিধা হবে বলে মনে করি।" করোনা নিয়ে অবহিত অবশ্য অনেক কন্ডাক্টর।
২৪০ নম্বর রুটে সাত বছর ধরে কাজ করছেন দিলীপ মাঝি। তিনি বলেন, "দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এখানে আসেন।আমাদের বাসে চাপেন। অনেকের শরীর খারাপ থাকে। ফলে হাঁচি, কাশি বা সংস্পর্শ থেকে সমস্যা হতে পারে। তাই মাস্ক পড়ব।" চালক ও কন্ডাক্টররা অবশ্য জানাচ্ছেন তারা নিজেরাও এবার থেকে মাস্ক কিনে পড়বেন। চালক ও কন্ডাক্টর'রা না'হয় মাস্ক পড়বেন।কিন্তু সব যাত্রীরা তো আর মাস্ক পড়বেন না। তাহলে কি হবে? জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায় বলেন, "সরকার সবাইকেই সচেতন করছে। আমরাও সচেতনতা মুলক প্রচার চালাচ্ছি। সেই কারণেই এই মাস্ক দিচ্ছি। কারণ সবচেয়ে বেশি লোকের সাথে সময় কাটান এই চালক ও কন্ডাক্টররা।" বেসরকারি বাস সংগঠনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে রাজ্য পরিবহন দফতর।
Abir Ghosal