আত্মীয় বা পরিজনের বেঁচে থাকার আশায় এখনও প্রহর গুণছেন অনেকেই। আর্তনাদের হাহাকারে যান ফেটে পড়ছে ঘটনাস্থল। ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিল কাটোয়া থানার কৈথন গ্রামের মাল পাড়ার বাসিন্দা নির্মাণ শ্রমিক সাদ্দাম সেখ। আজ দুপুর বারোটা নাগাদ খোঁজ মেলে সাদ্দামের। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর নিথর দেহ।শেষমেশ আর বেঁচে ফেরা হল না কাটোয়ার এই বাসিন্দার।
advertisement
ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ জলপাইগুড়ি র ময়নাগুড়ির মাধবডাঙা ১ এর বাসিন্দা তরুন রায় (৩৩)। গুরুতর জখম হয়ে বালেশ্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শৈলেন রায় (৩৪) নামে আরও এক যুবক। দুজনে ময়নাগুড়ির মাধবডাঙা এলাকার বাসিন্দা। সম্পর্কে শালা,জামাইবাবু। একই সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা।পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা শিকার হতে হয় তাদের। জামাই বাবুর খোঁজ মিললেও এখনও নিঁখোজ তরুণ।
ট্রেন দুর্ঘটনায় ফরাক্কা ব্লকের বেওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকা গ্রামের প্রেমিক ঘোষ এখনও নিখোঁজ। ট্রেনে ওঠা পর্যন্ত মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। তারপরেই যেন থমকে যায় সবকিছু। এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি তাঁর। দুর্ঘটনায় থেকে শয়ে শয়ে মৃত দেহ উদ্ধার করা হলেও এখনও ছেলের বাড়ি ফেরার আশা বুকে নিয়ে প্রহর গুণছে প্রেমিকের বাবা-মা। একটা সন্ধেই যেন এক লহমায় কেড়ে নিল বহু মানুষের শেষ সম্বল।