ব্রজেশ ঝা। পেশায় আইনজীবী। চুঁচুড়া মহসিন কলেজ থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা। এখন হাইকোর্টে চুটিয়ে প্র্যাকটিস। বিভিন্ন সময়ে বিজেপির আইনি লড়াইয়ে অন্যতম সৈনিক ব্রজেশ ঝা। এবার তিনিই পদ্মশিবিরের প্রার্থী। বাগবাজার এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী। ব্রজেশও প্রথমবার পুরভোটের লড়াইয়ে। তাঁর কথায়, 'ভেবেছিলাম নেপথ্যে থেকেই মানুষের সেবা করব। আমার প্রিয়জনেরাই বলল প্রার্থী হতে। নাওয়া খাওয়া ভুলে নেমে পড়লাম ভোটযুদ্ধে'। অর্করঞ্জন ভট্টাচার্য। ইনিও পেশায় আইনজীবী। বাম নেতা তথা দুঁদে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের ভাইপো অর্করঞ্জন। সুরেন্দ্রনাথ ল’কলেজে পড়াশোনার সময় থেকেই রাজনীতিতে যোগ। তরুণ মুখ অর্করঞ্জনও আদালতের লড়াই থেকে প্রথমবার পুরভোটের লড়াইয়ে। কালীঘাট এলাকায় ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী।
advertisement
আরও পড়ুন: 'কলকাতার ১০ দিগন্ত'-তে তৃণমূল, তিলোত্তমা ভোল পাল্টে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
বামেদের তরুণ আইনজীবী তথা রেড ভলেন্টিয়ার্সের ২৭ বছর বয়সী অর্করঞ্জন ভট্টাচার্য নিউজ এইট্টিন বাংলাকে জানালেন, 'বাম ছাত্র আন্দোলন এবং যুব আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সামিল ছিলাম। তবে হ্যাঁ, পুর ভোটে কোনও দিন লড়ব ভাবিনি। দল যখন আমার ওপর আস্থা রেখেছে পুর যুদ্ধে আমি সফল হবোই'। রাজনীতিতে যুক্তি-পাল্টা যুক্তির খুব প্রয়োজন। এই জায়গায় আইনের ছাত্র হওয়ার সুবাদে অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে। কাকা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও আমার এই নতুন পথচলাকে স্বাগত জানিয়েছেন। বললেন অর্করঞ্জন।
আরও পড়ুন: BJP জিতলে কলকাতার মেয়র কে? শুভেন্দু অধিকারীর 'বর্ণনা' নিয়ে জারি ধন্দ
শম্পা ঘোষ। ইনিও পেশায় আইনজীবী।হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল-জবাব। শম্পা ঘোষের কাছে এটাই চেনা পরিবেশ। তিনিও এবার পুরভোটে। যোধপুর পার্ক এলাকার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী। প্রথমবার ভোটের প্রার্থী। ময়দানে নেমেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী শম্পা ঘোষ। এক সাক্ষাৎকারে শম্পা ঘোষ জানালেন, 'কলকাতার নাগরিকরা পুর পরিষেবার ব্যাপারে আজও অবহেলিতই রয়েছেন। বস্তিবাসী থেকে সাধারণ নাগরিক। কেউই ভালো নেই। আমি ভোটে হারি বা জিতি। সব সময় মানুষের পাশেই থাকবো'। চার দলেই চার আইনজীবী-প্রার্থী। আইনি লড়াইয়ের বদলে এখন ভোট লড়াইয়ে। তবে শুধু এই চার প্রার্থীই নন, কলকাতা পুর ভোটে এবার সমস্ত রাজনৈতিক শিবির থেকেই 15 জন আইনজীবীকে ভোটে প্রার্থী করা হয়েছে। প্রত্যেকেই সকাল থেকেই ব্যস্ত প্রচারে। মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের পাশাপাশি ঘনঘন বৈঠক কর্মী সমর্থকদের নিয়ে। আইনি সওয়াল জবাবে অভ্যস্ত আইনজীবীরা আজ এক নতুন লড়াইয়ের আঙিনায়। সফল হবোই। বলছেন প্রত্যেকেই।