রবিবার তৃতীয় ও চতুর্থ দফার জন্য আংশিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং। আর তারপরই জানা যায়, তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে রাজীবের জেতা ডোমজুড়, সিঙ্গুরে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, প্রবীর ঘোষালকেই ফের তাঁদের কেন্দ্রেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। বঙ্গ রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, রাজীব কিংবা প্রবীরকে যেভাবে চাটার্ড ফ্লাইটে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিইয়েছিলেন অমিত শাহ, তাতে তাঁদের প্রার্থী হওয়ার একপ্রকার পাকা ছিলই। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য হালে বিজেপিতে যোগ দিলেও তাঁকেও প্রার্থী করল দল। কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন, সিঙ্গুরে তৃণমূল প্রার্থী বেচারাম মান্না সাংগঠনিক দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন অনেকেটাই। সেখানে অন্য প্রার্থীর বদলে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রবীন্দ্রনাথকেই বেছে নিয়ে পুরনো লড়াই জিইয়ে রাখল গেরুয়া শিবির।
advertisement
যদিও তৃণমূল নেতারা ইতিমধ্যে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন বিজেপির প্রার্থী তালিকাকে 'তৃণমূল বি' বলে। তাঁদের কটাক্ষ, এতদিন ধরে সিঙ্গুর, ডোমজুড় বা উত্তরপাড়ায় ক্রমাগত দলের হয়ে কাজ করলেন যে বিজেপি নেতা-কর্মীরা, আজকের প্রার্থী তালিকা তারই প্রমাণ। তৃণমূলের সেই কটাক্ষ ইতিমধ্যে বাস্তবে ফলতেও শুরু করেছে। রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে সিঙ্গুর থেকে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করার পরই দলের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রার্থী হিসেবে রবীন্দ্রনাথকে মানতেই চাইছেন না তাঁরা।
অপরদিকে, বাবুল সুপ্রিয়, স্বপন দাশগুপ্ত, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও নিশীথ প্রামাণিকের মতো চার হেভিওয়েট সাংসদকেও প্রার্থী করেছে বিজেপি। এতজন সাংসদকে কেন প্রার্থী করা হল, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, প্রতিটা কেন্দ্রে এখনও সম্ভাবনাময় মুখ খুঁজে পায়নি গেরুয়া শিবির। অথচ বাংলা জিততে মরিয়া বিজেপি। তাই সাংসদদেরই প্রার্থী করেও রীতিমতো বাজি ধরল বিজেপি। যদিও সেই যুক্তি মানতে চাননি বিজেপি নেতাদেরই কেউই। কিন্তু বাস্তবে বিজেপির প্রার্থী তালিকা বিতর্কের অবসান ঘটাতে পারল না।