ইয়াস বিধ্বস্ত ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রাজ্য সরকার দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প শুরু করে। কৃষি দফতর,মৎস্য দফতর, প্রাণিসম্পদ দফতর, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং ভূমি রাজস্ব দফতর এই পাঁচটি দফতরের তরফেই পৃথকভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেই মোতাবেক দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের অধীনে আবেদন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আবেদন জমা নেওয়ার পর ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয় পাঁচটি জেলাতেই। ভেরিফিকেশন এর পর্ব শেষ হওয়ার পর এই বেশিরভাগ আবেদন কেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
advertisement
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে বীরভূম থেকে আবেদন জমা পড়েছিল ২৫২ টি। যার মধ্যে ২০১টি আবেদনকে মঞ্জুর করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে ১৬২৫৮৬ টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে প্রায় ৭৮ হাজার আবেদনকে মঞ্জুর করা হয়েছে। হুগলি থেকে ৩৪০ টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। যার মধ্যে ২৩০ টি আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। হাওড়া থেকে ১৮ হাজার ৮০০টি আবেদন জমা পড়ে। যার মধ্যে ৮৫০০ টি আবেদন গ্রহণ করা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে আবেদন জমা পড়ে ৩০ হাজার। যার মধ্য থেকে মাত্র ২হাজার ৫০০ টি আবেদনপত্র কে মঞ্জুর করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে ১ লক্ষ১৮ হাজারটি আবেদন জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩৮হাজার ১০০ টি আবেদনপত্র মঞ্জুর করা হয়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে আবেদনপত্র জমা পড়ে ৫৭ হাজার ৮০০। আবেদনপত্র মঞ্জুর হয়েছে ২৭০০০ আবেদনকারীর।
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে ইতিমধ্যেই ৮৬হাজার ৬১৫ জন কে বাড়ি ভাঙার ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে। শুধু তাই নয় রাজ্যের অর্থ দফতরের ইতিমধ্যেই কৃষি দফতরে ২৪৬ কোটি টাকা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর কে ৫০ কোটি টাকার অর্থ মঞ্জুর করেছে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার জন্য। বাকি দফতরগুলিকেও অর্থ দফতরের তরফে টাকা মঞ্জুর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া অনেকটাই শেষ করা সম্ভব বলে আশাবাদী নবান্ন।
SOMRAJ BANDOPADHYAY