সংবাদমাধ্যমকে মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, "মা মাটি মানুষের সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে আবার দলিত সাহিত্য অকাদেমির সভাপতি পদ ফিরিয়ে দেবার জন্য। বড় প্রানের সম্পদ আমার দলিত সাহিত্য। বড় ভালোবাসার মানুষ দলিত সাহিত্যিক বন্ধুরা। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী আমাকে দলিত আকাদেমির পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়ে ছিল। যেন আমার আপন ঘর আপনজন থেকে নির্বাসিত হয়ে ছিলাম আমি। আবার নিজ গৃহে প্রবেশ করতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে। প্রণাম মা মাটি মানুষের নেত্রী মমতা দিদিকে।"
advertisement
মনোরঞ্জন বাবুর বক্তব্য, "আমার পুরাতন দিনের দলিত সাহিত্য আন্দোলনের কর্মী বন্ধুরা, এতক্ষনে নিশ্চয় জেনে গিয়েছেন,আমাকে আবার সেই দলিত সাহিত্য আকাদেমির সভাপতি পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পদ ফিরে পেয়ে অবশ্য আমি আনন্দিত, কিন্তু কিছু লোক খুবই বিমর্ষ।" মনোরঞ্জনবাবুর টিপ্পনী, " অনেকেই ভেবে ছিল শূন্য পদটা তাদেরই দখলে আসবে নির্বাচনের পরে। সরকার বদল হলো না, তাই তাদের আশাও পূরণ হয়নি।"
মনোরঞ্জন বাবুর বক্তব্য, যখন দলিত সাহিত্য আকাদেমি গঠন করা হয় তখন কে কোন শিবিরের দেখা হয়নি।তাঁর কথায়, "এই নির্বাচন সবার সব মুখোশ সরিয়ে দিয়েছে। তাই তাদের বিষয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে বইকি। আমরা কোন ভাবেই মনুবাদী আরএসএস, বিজেপির সমর্থক নিয়ে পথ চলতে পারব না। সে তিনি যত বড় সাহিত্যিক হোন। নিজেদের সংশোধিত করার একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিন মাস আমরা তাদের কথা, কাজ নিরীক্ষণ করব। যদি তাঁর মধ্যে "শুভেন্দু অধিকারী" উঁকি দেয়, চুলের মধ্যে থেকে উকুন বাছার মতো বেছে ফেলে দেব। এবার আমরা কিন্ত নির্মম!"
গত নির্বাচনে কে বন্ধু কে নয়,চেনা হয়ে গেছে। আমরা কিন্ত দুধ কলা দিয়ে ঘরের মধ্যে কাল সাপ পুষব না , এমনটা বলেই হুঁশিয়ারি দিলেন মনোরঞ্জন বাবু।