আরও পড়ুন-গতকালের ঘটনার সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক, এখানে রাজনৈতিক দলের তরফে কোনও মন্তব্য নেই, বললেন কুণাল
শুক্রবার প্রথম দিনেই প্রথম দফার ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন খেজুরির মনোমিতা হারা। ২০১৫ সালে যখন তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন তখন তিনি খেজুরির বাসিন্দা। এখন বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তিনি থাকেন বোলপুরে। আজ ইন্টারভিউ দিতে তিনি এসেছেন আড়াই বছরের শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে। স্বামী স্বপন মাহাত বোলপুরে একটি বেসরকারি কলেজে চাকরি করেন। তাঁকে সঙ্গে নিয়েই কলকাতায় এসেছেন গতকাল। সকালে প্রথমার্ধে ইন্টারভিউ থাকায় চলেও এসেছেন তাড়াতাড়ি। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আচার্য সদনে প্রবেশ করানো শুরু হতেই শিশুকে স্বামীর কাছে রেখে ইন্টারভিউ দিতে যান মনোমিতা।
advertisement
তিনি জানান, "যখন পরীক্ষা দিয়েছিলাম তখন অবিবাহিত ছিলাম৷ তারপরের ধাপে ইন্টারভিউ দিতে এসেছি আড়াই বছরের শিশুকে কোলে নিয়ে। তবে শেষমেষ সমস্ত টালবাহানা পেরিয়ে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় খুশি মনোমিতা-সহ সমস্ত চাকরি প্রার্থীরাই।" স্বচ্ছ নিয়োগ করতে যে বদ্ধপরিকর কমিশন তা ফের একবার জানালেন পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। মোট ৮টি ইন্টারভিউ বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এ বারে ইন্টারভিউতে ভিডিওগ্রাফির ব্যবস্থা না করা গেলেও ভবিষ্যতে স্বচ্ছতা আনতে ভিডিওগ্রাফির কথাও ভাবছে কমিশন।