তিনি তাঁর স্মৃতিতে থেকে যাওয়া একটি গল্প বললেন। ১৯৫৪ সাল নাগাদ যখন তিনি আই এ পড়ছিলেন,তখন বেলগাছিয়ার বাড়ি থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত ট্রামে করে এসেছিলেন। যদিও তিনি সে সময় স্কুলে যাওয়া থেকে আরম্ভ করে সমস্ত কিছু ট্রামেই সারতেন। তিনি বললেন ,এসপ্ল্যানেডে ট্রামে তার একটি বহু মূল্যবান কলম চুরি হয়ে গিয়েছিল। কলমটি তাঁর বাবার ছিল।অত দামি কলম চুরি যাওয়ার ফলে তিনি এসপ্ল্যানেড ট্রাম ডিপোতে দাঁড়িয়েই কেঁদে ফেলেছিলেন।তখন তার কাছে ধুতি পাঞ্জাবি পরিহিত এক মধ্যবয়স্ক লোক এসে জানতে চেয়েছিল,তিনি কেন কাঁদছেন?সেই লোকটি পেন চুরির ঘটনা জানার পর মনোজবাবুকে নিয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম ডিপোর সেই ঘরটির পিছনে।
advertisement
ঘরের পিছনে যাওয়ার পরে তিনি দেখেছিলেন, একটি চওড়া কাঁথার মতো কিছু পাতা ছিল। সেখানে একটি লোক বসে রয়েছে। তার সামনে ১০০ থেকে ১৫০টি পেন পড়ে রয়েছে। তার মধ্যে মনোজ বাবুর পেনটি ছিল কিনা, সেই ব্যক্তি দেখতে বলেছিলেন। যদিও মনোজ বাবু তার সেই দামী পার্কার পেনটি ওই পেন গুলির মধ্যে খুঁজে পাননি।
আরও পড়ুন : ৫১২ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে লাভ মাত্র ২ টাকা ৪৯ পয়সা! কৃষকের মাথায় হাত
পুরনো কলকাতার অভিজ্ঞরা বলেন, এক সময় কলকাতায় পেশাদার পেন চোরের দৌরাত্ম্য ছিল। আজকের দিনে এটা বিস্ময়কর।