আপাতত ৪টি অ্যাকাউন্টের সন্ধান ইডির হাতে এলেও গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ ছাড়াতে পারে। সল্টলেকের মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যর একটি অফিসের সন্ধান পেয়েছে ইডি। ওই অফিসটি ‘দুর্নীতির আঁতুড়ঘর’ বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। একইসঙ্গে, টেট দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আরও কয়েকজনের নামের তালিকা তৈরি করছে ইডি।
এই তালিকায় রয়েছেন টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া প্রার্থী থেকে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর কয়েকজন আত্মীয় ও পরিচিতরা। এ ছাড়াও যে বেসরকারি কলেজগুলির কাছ থেকে মানিকবাবুর ছেলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় আড়াই কোটি টাকা জমা হয়েছে, সেই কলেজের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলবেন ইডি আধিকারিকরা।
advertisement
ইতিমধ্যে ২৭৩ জন ভুয়ো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। একটি সিডিতে ৬১ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে, যাঁদের মধ্যে ৫৫ জন টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের নামের তালিকা অনুযায়ী তলব করে জেরা করা হবে বলেও ইডি সূত্রে দাবি। যে ৫৩০টি বেসরকারি কলেজের সঙ্গে মানিকবাবুর ছেলে সৌরভ ভট্টাচার্যর ছেলের সংস্থার চুক্তি হয়, সেই সংস্থার কর্ণধারদের কাছে ইডি জানবে, কলেজের প্রযুক্তিগত উন্নতির নামে তাঁরা একেকজন ৫০ হাজার টাকার বদলে আরও কোনও টাকা দিয়েছেন কি না। মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের সংস্থার সঙ্গে কলেজগুলির যোগ কী ও মানিকবাবু কীভাবে যুক্ত এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে ইডি।