গৃহকর্তা এবং তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হলেও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁদের ১৪ বছরের কিশোরী কন্যাকে৷ গলায় গুরুতর আঘাত নিয়ে তাকে চিনার পার্কের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
পুলিশ সূত্রে খবর, নারায়ণপুরের স্যর রমেশ মিত্র রোডের একটি আবাসনের এক তলার ফ্ল্যাটে এই ঘটনা ঘটে৷ ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে চিৎকার এবং গোঙানির শব্দ পেয়ে ছুটে যান স্থানীয়রা৷ এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়৷ যে জায়গায় এই ঘটনা ঘটে, সেখান থেকে নারায়ণপুর থানার দূরত্ব মেরেকেটে একশো মিটার৷
advertisement
আরও পড়ুন: শিক্ষামূলক ভ্রমণে শিক্ষিকা-ছাত্রের আপত্তিজনক ছবি ভাইরাল! তার পর কী হল, জানুন
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীর এবং মেয়ের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে নিজে আত্মঘাতী হন ওই ব্যক্তি৷ যদিও ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হবে৷ ঘটনাস্থলে আসনে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা৷ স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ও ঘটনাস্থলে পৌঁছন৷
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন৷ সুখী পরিবার হিসেবেই এলাকায় সবাই চিনত তাঁদেরকে৷ আচমকা কেন গৃহকর্তা এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে৷ তদন্তকারীদের আশা, দম্পতির কন্যার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে তার সঙ্গে কথা বলতে পারলে রহস্যের জট অনেকটাই কাটবে৷
আত্মঘাতী ওই ব্যক্তি পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে৷ পরে ঘরের ভিতর থেকেই একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ৷ তাতে বাজারে নিজের বেশ কিছু ধার দেনার কথা উল্লেখ করে গিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী৷ সেই কারণেই আত্মহত্যা কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷