সরকারের নয়া নির্দেশিকায় পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে নেওয়া ন্যাশনাল পারমিট নিয়ে একদল পণ্যবাহী পরিবহণ রাজ্যের অভ্যন্তরে ব্যবসা করছে। যদি তারা ন্যাশনাল পারিমট নিয়ে শুধুমাত্র বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পণ্য পরিবহণের কাজ করে, তাতে কোনও আপত্তি নেই।
আরও পড়ুন: একের পর এক ধসে পড়ছে বাড়ি! কী অবস্থা সমশেরগঞ্জের? পরিদর্শনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
advertisement
কিন্তু দেখা গিয়েছে, ন্যাগালান্ড, হরিয়ানায় পথ কর কম থাকায় সেখান থেকে ন্যাশানাল পারমিট নিয়ে এরাজ্যে এসে অভ্যন্তরীণ পণ্য পরিবহণের কাজ করছে। ফলে রাজ্যের নথিভু্ক্ত পণ্যবাহী পরিবহণের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই ভিন রাজ্য থেকে সংগ্রহ করা ন্যাশনাল পারমিটের গাড়িগুলির মধ্যে ওভারলোডিংয়ের প্রবণতা বেশি বলে জানা গিয়েছে। এবার এ নিয়ে কড়া আইন প্রয়োগ ও নজরদারির ব্যবস্থা করছে রাজ্য। এর মূল উদ্দেশ্য ওভারলোডিং বন্ধ করা এবং প্রাপ্য কর আদায় করা৷
পরিবহণ কর্তাদের মতে, রাজ্যে এই মুহূর্তে নথিভুক্ত পণ্যবাহী গাড়ি রয়েছে ৬ লক্ষ ২৩ হাজার। এর মধ্যে ন্যাশনাল পারিমট রয়েছে ৭৫ হাজারের কিছু বেশি। এখানে ন্যাশনাল পারিমটের পণ্যবাহী গাড়িকে এক বছরের জন্য সাড়ে ১৬ হাজার টাকা ফি-এর সঙ্গে পথ কর দিতে হয়। তিন মাস অন্তর এই পথ করের পরিমাণ পশ্চিমবঙ্গে ৬ হাজার টাকা। ন্যাগাল্যান্ডে সেই পরিমাণই মাত্র ২১০০ টাকা। হরিয়াণায় তিন হাজার টাকা।
পশ্চিমবঙ্গের এক শ্রেণির পরিবহণ ব্যবসায়ী পথ করের কম হারের সুযোগ নিতে এই সব রাজ্য থেকেই ন্যাশনাল পারমিট নিয়ে এরাজ্যে ব্যবসা করছে। তাই এখন ভিন রাজ্য থেকে নেওয়া ন্যাশনাল পারমিট এরাজ্যের অভ্যন্তরীণ পণ্য পরিবহণের ব্যবসা করার জন্য গ্রাহ্য হবে না। এখানকার পথ কর দিয়েই পারমিট করাতে হবে। না হলে জরিমানা সহ পথ কর দিতে হবে। এ নিয়ে জেলাগুলিকে অভিযানে নামার নির্দেশ দিয়েছে পরিবহণ দফতর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়