দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করে শুক্রবার কলকাতায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। শহরে ফিরেই এনআরসির বিরোধিতায় সুর চড়ান। এদিন কেন্দ্রের একাধিক নীতির বিলগ্নিকরণের প্রতিবাদে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখতে উঠে ফের তৃণমূলনেত্রীর গলায় উঠে আসে এনআরসি বিরোধিতা ৷ এনআরসি আতঙ্কে জেলায়-জেলায় মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনা লজ্জার বলেও মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘এনআরসি আতঙ্কে রাজ্যে ৬ জনের মৃত্যু ৷ বাংলায় এনআরসি করতে দেব না, অযথা ভয় পাবেন না ৷ ১৯৭১-এর তথ্য লাগবে কে বলেছে?’
advertisement
নথি অমিল হলে অযথা আতঙ্কগ্রস্থ হতে নিষেধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘নথি হারালে পুলিশকে জানান ৷ ভোটার লিস্টে নাম তোলার কাজ চলছে ৷ ভোটার লিস্টে নাম তোলায় সমস্যা হলে জানান ৷ প্রয়োজনে দিদিকে বলো-তে জানান ৷ দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে ৷’ তিনি বলেন, ‘অসমে অ্যাকর্ড অনুযায়ী হয়েছিল। বাংলায় প্রশ্ন আসে না। তাছাড়া করাতে হলে রাজ্য সরকারকে দিয়ে করাতে হয়। আমরা যখন বলছি, তখন এনআরসি হবে না, হবে না, হবে না ৷’
অসমে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে এনআরসি নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বারবার সেই আতঙ্ক কাটানোর চেষ্টা করেন। বাংলায় এনআরসি হবে না বলে আশ্বাস দেন।
অসমের পর বিজেপির টার্গেট বাংলায় এনআরসি। এই এনআরসিকে হাতিয়ার করেই পদ্মশিবির ধর্মীয় মেরুকরণের অস্ত্রে শান দিতে চাইছে। পাল্টা এনআরসির বিরোধিতায় সরব তৃণমূলও। এনআরসি নিয়ে জোড়া ফুল ও পদ্মফুলের এই চাপানউতোরের জেরেই রাজ্য রাজনীতির পারদ তুঙ্গে।