এই প্রসঙ্গে মাছের তুলনা টেনে মমতা বলেন, "চুনে পুঁটিরা ধরা পড়েছে। ১ কুইন্টলের ওপর যারা তারা ধরা পড়েছে শুধু।' মমতা আরও বলেন, "একটা রেজোলিউশন সরকার আনতে পারে। এটা ক্রীতদাস সরকার নয়। এটা স্বাধীনচেতা সরকার। কেন্দ্রকে ইডি-সিবিআই-এর সক্রিয়তা প্রসঙ্গে তুমুল আক্রমণ করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "চোরের মায়ের বড় গলা। হায় রে বিধাতা। কী দেশ ছিল আর কী হল!"
advertisement
এদিন ফের একবার অনুব্রত মণ্ডলকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে মমতা বলেন, "কেষ্ট বীরপুরুষ। অবশ্যই বীরপুরুষ। যারা বড় বড় কথা বলছেন। বীরপুরুষ কবিতা আছে। সেটা দু'লাইন বলুন।"
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর আজপ্রথম রাজ্য বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। গত বিধানসভা অধিবেশনের মত সোমবারেও উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভা। এদিন ফের একবার অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে সরব হন মমতা।
তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় এজেন্সির বাড়াবাড়ির পিছনে আসলে দায়ী আসলে বিজেপি নেতারা। তবে তাঁর এই বক্তব্যের নেপথ্যে কারণও যুক্তিও দেখিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সিবিআই আগে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ছিল। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর অধীনে। তাই সিবিআই-এর অযাচিত তৎপরতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সোমবার বিধানসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে এজেন্সি ইস্যুতে আক্রমণাত্মক মমতা নিন্দা প্রস্তাবের ভাষণের শুরুতেই কড়া ভাষায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন, “বিজেপি নেতাদের বাড়িতে ইডি-সিবিআই তল্লাশি করতে বলব। টাকার পাহাড় পাবে। তল্লাশির সময় আমরা সঙ্গে থাকব, দেখিয়ে দেব, কার কোথায় ক’টা ফ্ল্যাট রয়েছে।” সোমবার বিধানসভায় নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও তীব্র কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরুলিয়ায় চাকরি বিক্রি প্রসঙ্গ তুলে মমতার খোঁচা, ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ।”