একদিকে নোটবন্দি-জিএসটির খাঁড়া। অন্যদিকে রাজ্যের আর্থিক বেহাল দশা। জোড়া খাঁড়া সামলে আয়ের সংস্থানে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষকে সুরাহার দিশা দিল রাজ্য বাজেট। সরকারের লক্ষ্য, কৃষির উন্নয়নের পাশাপাশি বেশি করে কর্মসংস্থান তৈরি করা করা। গ্রামীণ অর্থনীতির বেশিরভাগটাই নগদের ওপরে নির্ভরশীল। নোট বাতিলের জেরে মারাত্মকভাবে ধাক্কা খেয়েছে সেই কৃষিজ অর্থনীতি। পরিস্থিতি মোকাবিলার বাজেটে সরকারের প্রস্তাব,
advertisement
কৃষি-অর্থনীতিতে জোর
------------
- কৃষি কাজের জন্য জমি কিনলে মিউটেশন ফি মকুব
- অভাবী বিক্রিতে কৃষকদের ঋণের ফাঁস থেকে মুক্ত করতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন
- বয়স্ক কৃষিজীবীদের মাসিক ভাতা ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা
- ভাতা প্রাপকদের সংখ্যা ৬৬ হাজার থেকে বেড়ে হবে ১ লক্ষ
নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তদের বাড়ি তৈরির সাধ সহজ করতে কর ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারের দাবি, নির্মাণ শিল্প চাঙ্গা হলে কর্ম সংস্থানও বাড়বে। বাজেটে প্রস্তাব,
গৃহনির্মাণ শিল্পে নজর
--------
- ১ কোটি টাকা পর্যন্ত সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ১ শতাংশ ছাড়
- গ্রামাঞ্চলে ৬ শতাংশের বদলে ৫ শতাংশ
- শহরাঞ্চলে ৭ শতাংশের বদলে ৬ শতাংশ
ধুঁকতে থাকা রাজ্যের চা-শিল্পকে টেনে তুলতেও রাজ্য বাজেটে বিশেষ প্রস্তাব রাখা হয়েছে। আগামী অর্থবর্ষে বাগানগুলির কৃষি কর পুরোপুরি মকুব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের দাবি, এর ফলে প্রায় পঁচিশ লক্ষ চা শ্রমিক উপকৃত হবেন। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ফলে ভোটের বাজারে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যেরও কার্যত শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের আগেই রাজ্য বাজেটে গ্রামীণ অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে মোদি সরকারকে একরকম চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।