বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের এই সিদ্ধান্তর ফলে রাজ্যের বিধবাদের মুখে নতুন করে হাসি ফুটবে বলেই মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবার থেকে তপশিলিজাতিভুক্ত বিধবা মহিলারা মাসে ১,৪০০ টাকা ও অন্যান্য শ্রেণির বিধবা মহিলারা মাসে ৯০০ টাকা পাবেন।
advertisement
যদিও পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই সিদ্ধান্ত ভোট কেনার চেষ্টা বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিচ্ছে না সরকার। কয়েক মাস পর থেকে বেতন দিতে পারবে কি না তার ঠিক নেই। ওদিকে ভোট কেনার জন্য খয়রাতি চালু রেখেছে তারা।
এদিকে ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য স্কচ পুরস্কার (Skoch Award) পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মহিলা ও শিশু কল্যাণের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে প্লাটিনাম সম্মান দিয়েছে স্কচ। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর ও সমাজ কল্যাণ দফতরের হাতে উঠেছে এই পুরষ্কার। পুরষ্কার পাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত ট্যুইট করতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন : তিন-তিনবার ফোন করেও মায়ের গলা শুনতে পাননি... ডুকরে কেঁদে ফেললেন অর্পিতা!
সেইসময় তাঁর ট্যুইটে মমতা লিখেছিলেন, “মহিলাদের ক্ষমতায়নকে আমরা সবসময় গুরুত্ব দিয়ে দেখেছি। এই প্রাপ্ত শুধু রাজ্য সরকারের নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গের ১.৮ কোটি মহিলার, যাঁরা আজ নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন।” এবার রাজ্যের বিধবারাও শীঘ্রই এই তালিকায় যুক্ত হওয়ায় সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধু লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, আরও একাধিক প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের মাথায় উঠেছে নতুন পালক। রাজ্যের উৎসশ্রী প্রকল্পকেও স্কচ সিলভার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ঐক্যশ্রী প্রকল্পের জন্য গোল্ড পুরস্কার পেয়েছে রাজ্য। এরমধ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নাগরিক মহলের একটা বড় অংশ। এতে বিধবা মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার পথ অনেকটাই প্রশস্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।