কিন্তু সেই দুই দফতর পরিদর্শন করে বিরক্তও হন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দুই দফতরে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মীদের হাজিরা দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। দফতরে উপস্থিত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে চান। প্রশ্ন করেন ‘বেশিরভাগ চেয়ার ফাঁকা কেন?’ সেই সময় ওই দুই দফতরে কর্মীদের হাজিরা ছিল মোট ২৫%।
আরও পড়ুন: কৌস্তভ নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত হাই কোর্টের! সিপি-কে কড়া নির্দেশ, এবার যা হবে...
advertisement
আচমকা মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য দফতরের কর্মীরা। চেয়ার ছেড়ে উঠেও দাঁড়ান সকলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢুকেই অবশ্য উষ্মা প্রকাশ করেন। যদিও দফতরের কর্মীদের কাছ থেকে জানতে চান যে, ধর্মঘটের দিন কর্মীরা এসেছিলেন কি না। বুধবার এত কর্মী সংখ্যা কম কেন? সেই প্রশ্নও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কলকাতার ৩ ক্যাফেতে ঘটেছে সেই বৈঠক, শান্তনুর সঙ্গে কোন নেতার? জেনে গেল ইডি
মিনিট দশেক পাঁচ তলায় কাটিয়ে নবান্নের ১৪ তলায় নিজের ঘরে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। হঠাৎ কেন মুখ্যমন্ত্রীর এমন পরিদর্শন? নবান্ন সূ্ত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য দফতরের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। কিন্তু তিনি যে দফতরে যাবেন, তা কেউ বুঝতে পারেননি। এছাড়া, রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠনের ডাকে ধর্মঘটের দিন ওই দুই দফতরে কর্মী উপস্থিতিও কম ছিল যথেষ্টই। এসবের পরই মুখ্যমন্ত্রীর ওই দফতরে আচমকা পরিদর্শন বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ।