তিনি বলেন, ''এটা খুব সেনসিটিভ ইস্যু। আমরা সবাই একসাথে থাকি। বিজেপির দুজন নেতা, তাদের নাম বলতে ঘৃণা বোধ করি। দেশের মধ্য বিদ্বেষ, ঘৃণা সৃষ্টি করা অপরাধ। আমি আগেই টুইট করে বলেছি, এদের গ্রেফতার করা উচিত। সকাল থেকে হাওড়ার কিছু জায়গায় অবরোধ করে রেখেছে। পুলিশকে আমি হাত দিতে বারণ করেছি। আমি নিজে গ্রেফতার করার দাবি করেছি। আমি নিজে দুঃখিত। কোনো ধর্ম সম্পর্কে কারোর কোনো কটু কথা বলার সাহস নেই।''
advertisement
এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''যাদের মনে হচ্ছে, তারা দিল্লিতে গিয়ে অবরোধ করুন। বাংলা যেখানে শান্তির জায়গা সেখানে কেন এইরকম করবেন? আমার খারাপ লাগছে। আমি সকাল থেকে নবান্নে বসে আছি। দেখছি আমি হাজার হাজার গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করব সব সম্প্রদায়কে। রাস্তা অবরোধ করবেন না। যাদের মনে হবে কিছু করা উচিত, থানায় থানায় অভিযোগ করুন।''
আরও পড়ুন: এক কথাতেই 'তেজ' বোঝালেন রোদ্দুর, কলকাতায় পা রেখেই বিস্ফোরক মন্তব্য! যা বললেন...
এদিন সকালে এই প্রসঙ্গে ট্যুইটারেও মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, ''আমি জোরালোভাবে দাবী করছি, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য ও ঐক্য রক্ষার স্বার্থে এবং সর্বসাধারণের মানসিক শান্তির প্রয়োজনে বিজেপির অভিযুক্ত নেতা-নেত্রীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক। একই সঙ্গে, এই ঘৃণ্য প্ররোচনা সত্ত্বেও, আমি আমার সমস্ত জাতি, ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের সকল ভাই ও বোনদের কাছে সাধারণ মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।''
আরও পড়ুন: আদালতে হাততালি, তর্কাতর্কি! রোদ্দুর রায়ের পুলিশ হেফাজত, তারিখ জানিয়ে দিলেন বিচারক
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে পয়গম্বর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তাঁর মন্তব্যকে পরে টুইটে সমর্থন জানান দিল্লি বিজেপির প্রধান নবীন জিন্দাল। এরপরই পশ্চিম এশিয়ার বহু ইসলামিক রাষ্ট্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন। একাধিক দেশ ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের ডেকে কার্যত ভর্ৎসনা করে। বেশকিছু দেশ আবার ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাকও দেয়।