বীরভূমের দেউচা পাচামি দেশের সব থেকে বড় কয়লা খনি হতে চলেছে। আর এই কাজটি করছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ভুল বোঝানো হচ্ছে এলাকার আদিবাসী এবং অন্যান্য মানুষজনকে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''গরিবের ভাত মেরে কখনও কোনও কাজ করিনি। দেউচা পাচামি, মহম্মদবাজারের মানুষের আমার প্রতি যদি আস্থা থাকে তাহলে বলব, একজন মানুষও বঞ্চিত হবেন না। জমির বর্তমান মূল্যের দ্বিগুণ দাম ও চাকরি দেওয়া হবে প্রত্যেক জমিদাতাকে। মনে রাখবেন জবরদস্তি করে আমি কোনও কাজ করি না। কখনও করিনি। কিন্তু কিছু খাদান মালিক ব্যক্তিস্বার্থে বাধা দিচ্ছে। তাদের বেআইনি খাদান বন্ধ হওয়ায় তারা বিভ্রান্ত করছেন মানুষকে।''
advertisement
আরও পড়ুন: বিহার থেকে রাজ্যে ঢুকল একটি বোলেরো গাড়ি, যা মিলল ভিতরে, চক্ষু চড়কগাছ সকলের!
প্রসঙ্গত, রাজ্যের নিজস্ব ১ হাজার একর জমি ছাড়াও এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে জমি নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য তাদের জমির বদলে জমি, বাড়ি তৈরি খরচ ও চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে ৬ জনের হাতে সেই জমির পাট্টা ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, দেউচা পাচামি প্রকল্পে যারা জমি দিয়েছেন তাদের জমির পরিবর্তে জমি, বাড়ি শিফট করা জন্য টাকা ও বাড়ি তৈরি করার জন্য ৫ লক্ষ টাকার পরিবর্তে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আনিস হত্যায় গ্রেফতার কাশীনাথ বেরা-প্রীতম ভট্টাচার্য! কারা তাঁরা? কী বললেন ডিজি?
এছাড়াও পরিবারপিছু যোগ্যতা অনুয়ায়ী একজনকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। যাদের যোগ্যতা বেশি তারা গ্রুপ সি-তে ও যাদের যোগ্যতা কম তাদের গ্রুপ ডি-তে চাকরি দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে চাকরি হবে কমপক্ষে ১ লাখ মানুষের। জমিদাতাদের পুনর্বাসনের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। প্রকল্পে ইতিমধ্য়েই ১৫০০ মানুষ জমি দেওয়ার কথা বলেছেন। প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা।