যদিও সরকারি আইনজীবী অনির্বাণ রায় আদালতে বলেন, যেখানে সভা হচ্ছে সেই জায়গাটা ব্যক্তিগত মালিকানা। আর নদীর পারের সংস্কারের ইতিমধ্যে টেন্ডার করা হয়েছে। যদিও মামলাকারীর আইনজীবী সুবীর সান্যাল বলেন,''বাঁশ দিয়ে কাচা মাটিতে কাঠামো করলে শেষমেশ নদীর ক্ষতি হবে। এখানে জল দূষণ হচ্ছে।''
তবে, সরকারি আইনজীবী বলেন, ''এটা শুকনো নদী। নদীতে যদি জল হত, তাও একটা কথা ছিল। সেখানে কোনও স্থায়ী কাঠামো হচ্ছে না। স্থায়ী কাঠামো হলে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আপনার ছবিতে জল কোথায়। নদীতে জলই নেই। জলে দাঁড়িয়ে সভাই হবে না।'' এই সওয়াল জবাবের পরই অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ না দিয়ে সব পক্ষকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতিরা।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিষেকের সভায় মহিলার সঙ্গে মারাত্মক ঘটনা, তড়িঘড়ি জরুরি নির্দেশ তৃণমূল সাংসদের
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম বার বাঁকুড়া সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩১ মে পুরুলিয়া থেকে তিনি বাঁকুড়ায় আসবেন। ওই দিন বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠক করার পাশাপাশি ১ জুন বাঁকুড়ার সতীঘাটে দলীয় কর্মিসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি কর্মী সমর্থক জমায়েত হবেন বলে মনে করছে তৃণমূল। সভার প্রস্তুতি ঘিরে বাঁকুড়ার সতীঘাটে এখন সাজ সাজ রব। আর তারই মাঝে সভাস্থলকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আরও পড়ুন: করা হল সতর্ক, তবে কলকাতা হাই কোর্টে বড় স্বস্তি পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
অভিযোগ, জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়কে অগ্রাহ্য করে গন্ধেশ্বরী নদীর বুকে এই সভা হচ্ছে। এর ফলে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ হারানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে নদী ও আশেপাশে এলাকার জীববৈচিত্র, এই দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি ও পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। শনিবার ওই দু’টি সংগঠন যৌথ ভাবে বাঁকুড়ার মাচানতলা মোড়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায়। যদিও শেষমেশ ১ জুন নির্ধারিত সভাস্থানেই হতে চলেছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সভা।
