চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ''বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে বিজেপি। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সবাইকে একজোট হতে হবে। ইডি-সিবিআই-কে ব্যবহার করে বিরোধীদের বিপাকে ফেলছে বিরোধীরা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, গণতন্ত্র এবং সংবিধানের বিরুদ্ধে বিজেপি যে আঘাত হানছে, তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের সময় এসেছে। সকলের কাছে আমার আবেদন, নিজেদের সময়-সুযোগমতো একসঙ্গে বসে আলোচনা করি এবং এর বিরোধিতায় সরব হই।'' তৃণমূল নেত্রী এই চিঠি দিলেন সব বিরোধী দলের নেতা ও অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের।
দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অক্ষুন্ন রাখতে তিনি যে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীকে বারংবার চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের আগে তিনি কেজরিওয়ালের ‘সাফল্যের’ কথাও তুলে ধরেছিলেন। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির সবগুলি আসন বিজেপি দখল করেছিল। কিন্তু তার কয়েক মাস বাদেই যে সেখানকার বিধানসভা ভোটে কেজরিওয়ালের ‘আপ’ বিপুল ভোটে জয়ী হয়, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। বাংলাতেও তাঁর দল বিজেপি-কে ধুলিসাৎ করে।
আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডের মাঝেই প্রবল বিপদে অনুব্রত মণ্ডল, হাইকোর্টে বড় ধাক্কা! কী ঘটল?
তৃতীয় বারের জন্য বাংলার ক্ষমতা দখলের পর অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও দলে টানতে চাইছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মাস কয়েক আগে তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, শরদ পাওয়ার সহ নানা বিরোধী নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। চেষ্টা করেছেন ২০২৪-এর আগে সলতে পাকানোর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলের মুখ্য়মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকের প্রস্তাবও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাকা চেকিংয়ে দাঁড়াল গাড়ি, সন্দেহবশে পরীক্ষা করতেই চক্ষু ছানাবড়া পুলিশের! যা ঘটল...
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড সহ ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেখানে পঞ্জাব বাদে বাকি চার রাজ্যেই ক্ষমতায় ধরে রেখেছে বিজেপি। আর সেই ফলাফল ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেও দাবি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী নেতাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।