গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকেও গঙ্গা ভাঙন নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন। এদিন মালদহ জেলায়, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ এই দুই জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৫০ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেন মমতা। প্রশাসনিক বৈঠকের পরে গতকাল রাতেই তিনি ফরাক্কা পৌঁছন। আজ, শুক্রবার সেখান থেকেই সমশেরগঞ্জে গঙ্গা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে সূত্রের খবর।
advertisement
গঙ্গা ভাঙনে বর্তমানে প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে মুর্শিদাবাদের সমশেরগঞ্জ। নদীর ধার বরাবর একাধিক বাড়ি বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে। ভাঙনের আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। সামনেই বর্ষা। সেক্ষেত্রে বাসিন্দাদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। বিশাল এলাকা জুড়ে মাটিতে ফাটলও দেখা দিয়েছে। নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে কয়েক বিঘা কৃষি জমি। যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে বাসুদেবপুর থেকে কাকুরিয়া হয়ে ধুলিয়ান যাওয়ার অন্যতম রাস্তা। এমনটাই আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, গতবছরের শেষের দিকেও সমশেরগঞ্জ এলাকায় ভাল রকম গঙ্গা ভাঙন হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে, এখনই কোনও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা না হলে এই গঙ্গা ভাঙন আরো বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, গঙ্গা ভাঙন আটকাতে ১০০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বরাদ্দ ও খরচ করেছে রাজ্য। কিন্তু, কেন্দ্রের তরফ থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য আসছে না বলে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে, শুক্রবারের পরিদর্শনের পরে গঙ্গা ভাঙন আটকাতে নতুন কিছু পরিকল্পনা ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়