‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’৷ জনসাধারণের সমস্যার কথা শোনা ও তার দ্রুত সমাধানের জন্য এবার চালু হচ্ছে এই নতুন সরকারি কর্মসূচি৷ সূত্রের খবর, আমজনতা ও প্রশাসনের মধ্যে জনসংযোগের হাতিয়ার হিসাবেই এই নয়া কর্মসূচি তুলে ধরতে চলেছে নবান্ন।
আরও দেখুন: ফিরহাদ হাকিমের নগরায়ণ ভবনে সকাল সকাল হাজির CBI, কী হল তারপর? তুঙ্গে জল্পনা
advertisement
সরকারি অন্দরমহলের কথায়, ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের মধ্যে প্রশাসন সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা সম্ভব হয়েছে। সেই ধারণা থেকেই আগামিকাল, বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে এবার তাই আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’নামের সরকারি কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে।
সূত্রের খবর, এক্ষেত্রেও ‘দিদিকে বলো’র মতো দেওয়া হবে কোনও নির্দিষ্ট ফোন নম্বর৷ আগামিকাল, নবান্ন সভাঘর থেকে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের নিয়েও আলোচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী৷
মানুষের সমস্যার কথা শুনে সমাধান করতে মুখ্যমন্ত্রী অনেক আগেই তাঁর সচিবালয়ে একটি গ্রিভান্স সেল তৈরি করেছেন। একজন সচিব পদ মর্যাদার আধিকারিককে এই সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপান্ন থেকে সেই সেল-এর কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা হয়। গ্রিভ্যান্স সেলে চিঠি লিখে বা ই-মেল করে সাধারণ মানুষ নিজেদের অভিযোগের কথা জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীকে৷
সেই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয় সরাসরি সংশ্লিষ্ট জেলাশাসককে দ্রুত তদন্ত করে সমাধান করার নির্দেশ দেয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আধিকারককে অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট এবং সমাধান সূত্র মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে পাঠাতে হয়।
আরও দেখুন: পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একাধিক পুরসভায় CBI হানা! নগরোন্নয়ন দফতরেও ঢুকল সিবিআই
কয়েকটি ক্ষেত্রে এধরনের অভিযোগের যথাযথ তদন্ত নিয়ে প্রশাসনের নিচুতলায় গড়িমসির অভিযোগ উঠেছিল৷ সেই কথা জানতে পেরে বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে উষ্মাপ্রকাশও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবার সেই গ্রিভ্যান্স সেলই আসছে নতুন মোড়কে। যেখানে আমজনতা সরাসরি টেলিফোনে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এ জন্য ‘নবান্ন’র লাগোয়া ‘উপান্ন’-এ টেলি যোগাযোগের আধুনিক সরঞ্জাম, নির্দিষ্ট ফোন নম্বর ও পেশাদার কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে৷ অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়