নৈহাটি উপনির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রীর এই নৈহাটি সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আজ মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে জেলা প্রশাসনিক স্তরের শীর্ষ কর্তারা এদিন নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। নৈহাটির বড়মা পুজো সমিতির ট্রাস্টের সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্তারা, বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া, বারাকপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ বারিক অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা।
advertisement
বড়মা কমিটির সভাপতি তথা নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই সফর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। মুখ্যমন্ত্রীর অনেক দিনের ইচ্ছাকে মান্যতা দান। আজ তিনি বড়মার দর্শন করতে আসছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা করা হল। নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে মন্দির চত্ত্বর।লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর আসন জিতে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। অর্জূন গড় বলে পরিচিত থাকা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল তৃণমূলের দখলে।
যদিও প্রবল রাজনৈতিক বিরোধিতার মধ্যেও ২০২১ সালে এই এলাকার একমাত্র ভাটপাড়া বিধানসভা বাদে বাকি সব আসনেই জয় লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৪ সালে লোকসভার পরে এই নৈহাটি বিধানসভার উপনির্বাচনেও জয় লাভ করে শাসক দল। তার পরেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বড়মার মন্দিরে আসা নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনাও শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ব্যারাকপুর লোকসভা আসন হেরে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। এর পরেই দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতে নৈহাটি পুরসভা সন্নিহিত এলাকায় গিয়ে সভা করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। পাশাপাশি বন্ধ থাকা দলীয় কার্যালয় তিনি খুলে দেন। আবার চলতি বছরে বন্যার সময়ে বড়মা মন্দিরের ট্রাস্টের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। আজ সেই মন্দিরেই পুজো দেবেন তিনি।