সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন রাজ্য সরকার ও বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি জিএস খেহরের বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানিতে বারবারই অস্বস্তিতে পড়তে হল মামলাকারীদের।
-বিচারপতি - প্রাথমিক তদন্তই এখনও ঠিকমতো শুরু হয়নি। এখনই তদন্ত বন্ধ করার আবেদন কেন?
- মামলাকারীর আইনজীবী- সিবিআইকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর প্রমাণ আগেও মিলেছে। এই মামলাতেও সেই আশঙ্কা থাকছে
advertisement
-বিচারপতি - সেটা প্রাথমিক তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেটা কিভাবে বলা সম্ভব? আপনি কি আগে থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছেন?
-মামলাকারীর আইনজীবী- সিবিআই ডিরেক্টরই মেনে নিয়েছেন এই সংস্থা খাঁচাবন্দী তোতাপাখি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই মামলাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে এই সংস্থা। অন্তত অন্য কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক। যাতে দু-দিক বজায় থাকে।
- বিচারপতি - সবাই পক্ষপাতদুষ্ট! এধরণের মন্তব্য দূর্ভাগ্যজনক। মিঃ সিব্বল, আদালতে রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না। অবিলম্বে রাজ্যকে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। নিঃস্বার্থ ক্ষমাও চাইতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আরও নির্দেশ, ১ মাসে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে। প্রয়োজনে করতে হবে এফআইআর। শীর্ষ আদালতের রায়ে আরও কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সাংবিধানিক সংস্থা সম্পর্কে মন্তব্যে সতর্ক থাকতে হবে ৷ তদন্তে সিবিআইকে প্রয়োজনীয় সাহায্য দিতে হবে রাজ্যকে ৷ প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ার পর বক্তব্য থাকলে ফের আদালতে যাওয়ার রাস্তা খোলা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়।