এ দিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও কিন্তু খুঁজে বের করব ২০১৬- তে কারা মন্ত্রী ছিলেন৷ একটা জেলা তো আমি জানি, সেখানে কীভাবে চাকরি হয়েছে। কারও কাছে যদি এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য থাকে প্লিজ আমাকে দেবেন।’
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির জবাবে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছু়ড়েছেন বিরোধী দলনেতাও৷ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এর আগেও বহুবার এ সব হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷ মুর্শিদাবাদ কে দেখত, মালদহ কে দেখত, আরে কাগজ বের করুন না, ছেঁড়া কাগজই দেখান৷ আজ পর্যন্ত তো দেখাতে পারলেন না৷’
advertisement
আরও পড়ুন: ‘দেশের নাগরিক হিসেবে এই রায় মেনে নিতে পারছি না’, ২৫৩০০ চাকরি বাতিলে মন্তব্য মমতার
তবে শুধু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নয়, তার পাশাপাশি সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ এবং আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকেও নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বিশ্বের সবথেকে বড় আইনজীবী৷ জানি না, উনি এখনও কেন নোবেলটা পেলেন না৷ ভাবছি নোবেল পুরস্কারের জন্য ওনার নামটা সুপারিশ করব৷’
তবে বিরোধীদের নিশানা করলেও এ দিন বার বারই চাকরি হারানো স্কুল শিক্ষকদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, শুনেছি এই রায় শুনে অনেকেই ভেঙে পড়েছেন৷ কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তার দায় কে নেবে৷
যদিও এ ভাবে ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষকের চাকরি বাতিলের জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন বিরোধী দলনেতা৷ তিনি বলেন,’ এই দুর্নীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী এবং পুরো উচ্চশিক্ষা দফতরই জেলে গিয়েছে৷ এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সুপ্রিম কোর্ট বার বারই রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের বলেছিল যে যোগ্য এবং অযোগ্য শিক্ষকদের পৃথকীকরণ করে দেওয়া হোক৷ কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট দু জায়গা থেকেই এই সুযোগ রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়েছিল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ এবং তাঁর মন্ত্রিসভা জেলে গেলেই এই সমস্যার সমাধান হবে৷’