সোমবার নাটকীয় ভাবে অবসর নেন রাজ্যের আমলা, মুখ্যমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তাঁর মেয়াদ শেষ হলেও তাঁকে আরও তিন মাস যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মাথায় রেখেই চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু কেন্দ্র তাঁকে ৩১ মে-র মধ্যে কর্মীবর্গ দফতরে যোগ দিতে বলেন। আলাপনকে ছাড়তে চায়নি রাজ্য। আলাপন নিজেও আপোসে না গিয়ে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্তই সর্বসমক্ষে জানাতে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি জানান, কর্মজীবনে এখনই ইতি নয়, মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘোষণার সময়েই কেন্দ্রের ব্যবহারে কূপিত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, দেশের অন্যতম প্রথম সারির একজন আমলার সাথে এইসব করা যায় কি ?
advertisement
মমতার যুক্তি কেন্দ্র আসলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানতে চায়। তিনি বলেন, ওঁরা রাজ্য সরকারকে বুলডোজ করতে চাইছে। তাঁর পরেই রণং দেহী মমতার হুঙ্কার, মনে রাখবেন রাজ্যের টপ মোষ্ট আমলাকে এইভাবে তাঁর কনসেন্ট ছাড়া ডেকে নেওয়া যায় কি ? তাঁকে এইভাবে হিউমিলিয়েট করা ঠিক হচ্ছে কি ? আমলারা আপনাদের ক্রীতদাস নয়।
আপনারা তো আমলাতন্ত্র কে ভয় দেখিয়ে খতম করতে চাইছেন। মমতা এই সময়েই বলেন, আমরা ভয় পাই না। যো ডরতা হ্যায় ও মরতা হ্যা। বাংলা সব সময় মাথা উঁচু করেই চলে। এটা আমাদের নৈতিক জয়।
এখানেই শেষ নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই লড়াইতে নেহাত এক আমলা নিয়ে দড়িটানাটানি হিসেবে দেখতে চাইছেন না। চাইছেন কেন্দ্রের সহিংস আচরণ হিসেবেই দেখা হোক এই ঘটনাকে। তাঁর কথায়, আমি মনে করি সব বিরোধী রাজ্যকে একজোট হয়ে এর বিরোধিতা করা উচিত। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বুদ্ধিজীবীদেরও সরব হওয়ার ডাক দিচ্ছেন তিনি।
