এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির সভা থেকেও হনুমান জয়ন্তীতে অশান্তি রুখতে আগাম সতর্কতা জারি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “আমি প্রশাসন ও আমাদের ছেলেমেয়েদের বলছি ৬ তারিখ সতর্ক থাকবেন। আমরা বজরংবলীকে সবাই সম্মান করি। কিন্তু তা নিয়ে কোনও হিংসা যেন না হয়।” যেকোনও ধরনের অশান্তি রুখতে যুবসমাজকে এগিয়ে আসারও বার্তা দিয়েছিলেন। যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে ইতিমধ্যেই হনুমান জয়ন্তীর মিছিল নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
advertisement
হনুমান জয়ন্তী নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক পুলিশও। একাধিক নির্দেশিকা জারি করে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, শহরে কোনও মিছিলেই বহন করা যাবে না কোনও ধরনের অস্ত্র। কলকাতা পুলিশের মূল শর্ত, কোনও মিছিলেই লাঠি, বর্শা, আগ্নেয়াস্ত্র, তলোয়ার বা ওই ধরনের কিছু বহন করা যাবে না। লালবাজার জানিয়েছে, এবার থেকে মিটিং-মিছিলের জন্য আবেদন করা যাবে অনলাইনে। কীভাবে আবেদন করা হবে ও আবেদনপত্রে কী থাকবে, সেই ব্যাপারে রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনকে সাহায্য করছে কলকাতা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে শহরে আট বা ততোধিক মিছিল হতে পারে। হাওড়া ও হুগলিতে রামনবমীর মিছিল নিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জেরে সতর্ক হয়েছে পুলিশ। হনুমান জয়ন্তীর আগেই প্রত্যেকটি থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। লালবাজারের নির্দেশ, কোনওমতেই অস্ত্র নিয়ে কোনও মিছিল করা যাবে না। সূত্রের খবর, মিছিলের রুটগুলিও এমনভাবে কলকাতা পুলিশ তৈরি করছে, যাতে কোনও সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। গোয়েন্দা দফতরকেও সতর্ক করা হয়েছে বিশেষভাবে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে ৩ কোম্পানি প্যারামিলিটারি ফোর্স মোতায়েন করছে নবান্ন। ব্যারাকপুর, চন্দননগর ও কলকাতা এই তিনটি জায়গায় এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। হাইকোর্টে নির্দেশ মেনে চলতে হবে, এমনই নির্দেশ জারি হয়েছে নবান্ন থেকে। সেই সূত্রেই হনুমান জয়ন্তী নিয়ে সতর্ক এবার রাজ্য পুলিশ। স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলিতে টহলদারি করতে হবে। যে সমস্ত পুলিশ কর্মীরা স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলিতে টহলদারি করবেন তাদের বডি ক্যামেরা লাগাতে হবে। যদি কেউ গুজব ছড়ায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
হেলমেট ব্যবহার করতে হবে টহলদারির সময়। কোথাও কোন অশান্তির ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে নবান্নের কন্ট্রোলরুমে জানাতে হবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। হনুমান জয়ন্তীর প্রতিটি মিছিলের সঙ্গে থানার আইসি বা উচ্চ পর্যায়ের পুলিশের আধিকারিকদের থাকতে হবে। বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারদের ফের বৈঠকে নির্দেশ ডিজি, এডিজি আইন শৃঙ্খলার।