TRENDING:

৫০০ দিনে ২৮ লক্ষ মানুষ উপকার পেলেন দিদিকে বলো প্রকল্পে, ট্যুইট মমতার

Last Updated:

মূলত মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর কার্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান, সরকারি কাজ সংক্রান্ত মতামত এবং সরকারি কাজের প্রশংসা নিয়ে মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন ফোনের মাধ্যমে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: দিদিকে বলো এক অনন্য কর্মসূচি, যা গ্রহণ করা হয়েছিল বাংলার মানুষকে এই ভরসা দিতে যে তাঁদের যে কোনও মতামত ও সমস্যার কথা শুনতে দিদি আছেন মাত্র একটি ফোন কল দূরেই। আজ সেই দিদিকে বলো ৫০০ দিন পার করল। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ৮০ লক্ষ আলাপচারিতার সূত্রে বাংলার ২৮ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। মূলত মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর কার্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান, সরকারি কাজ সংক্রান্ত মতামত এবং সরকারি কাজের প্রশংসা নিয়ে মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন ফোনের মাধ্যমে। এদিন এই হিসেব ট্যুইটারে তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।
advertisement

'দিদি'কে বলো'তে প্রাপ্ত মতামতের উপর ভিত্তি করে ১৪টি নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে রদবদল করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ষষ্ঠ পে কমিশন লাগু করেছে, সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে, এবং দুয়ারে সরকার, পাড়ায় সমাধান, পথশ্রী অভিযান, জয় জোহর, স্নেহের পরশ, প্রচেষ্টা, তপশিলি বন্ধু, যুবশ্রী এবং কর্ম সাথী প্রকল্পের মতো একাধিক জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

advertisement

এর পাশাপাশি গত ডিসেম্বর মাস থেকেই শুরু হয়ে গেছে, "দুয়ারে দুয়ারে সরকার"। রাজ্যের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি ব্লকে অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় গত নভেম্বর মাসে বাঁকুড়ার খাতড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে ঘোষণা করেন এই প্রকল্প। সেই প্রকল্প এবার বাস্তবের মাটিতে পা রেখেছে একেবারে ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিন থেকেই। এই প্রকল্পে মোট ১০টি পরিষেবাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। যেগুলির সুযোগ-সুবিধা দিতে জনগণের কাছে পৌঁছে যাবে সরকার।

advertisement

দুয়ারে সরকার প্রকল্পের জন্যে যে ১০টি প্রকল্পকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হল, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র দান, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জয় জোহর, তপশিলি বন্ধু, একশো দিনের কাজ। এই সব কটি প্রকল্প একেবারে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে যুক্ত রয়েছে। ফলে এই সব প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অভাব-অভিযোগ শুনতে গ্রামীণ ও পুরসভা এলাকায় শিবির করছেন সরকারি বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। আর জেলায় জেলায় সব প্রকল্পের প্রধান দায়িত্বে থাকছেন জেলাশাসক। মোট ৪ ভাগে হবে এই প্রকল্পের কাজ। ১লা ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারি মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রথম ভাগের কাজ হয়েছে ১ থেকে ১১ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ভাগের কাজ হয় ১৫-২৪ ডিসেম্বর। তৃতীয় ভাগের কাজ হয়েছে নতুন বছরের ২রা জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি অবধি। চতুর্থ ভাগের কাজ চলছে ১৮ থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিটি ওয়ার্ডে বসবে "দুয়ারে দুয়ারে সরকার" এর ক্যাম্প। মিলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। ক্যাম্প বসবে স্কুল, কলেজ, কমিউনিটি হল, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে।

advertisement

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কবে কোথায় ক্যাম্প বসবে তা আগে ভাগেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই ক্যাম্পে গিয়ে মানুষ অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন। বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন। সেই কাজ দ্রুত করে দেবেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, সরকারি পরিষেবা থেকে রাজ্যের কোনও মানুষ যাতে বঞ্চিত না হন সে বিষয়ে নিশ্চিত করা হবে। তবে শুধু গ্রামে নয়, শহরের মানুষও পাবে "দুয়ারে দুয়ারে সরকার" প্রকল্পের সুবিধা। পুর এলাকায় বাড়ির নকশা বা প্ল্যান অনুমোদন, পানীয় জলের সমস্যা মেটানো, মিউটেশন, সম্পত্তিকরের মূল্যায়ন সংক্রান্ত সমস্যা, জঞ্জাল সমস্যা মেটানো প্রতিটি মিলবে এই শিবির থেকেই।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
৫০০ দিনে ২৮ লক্ষ মানুষ উপকার পেলেন দিদিকে বলো প্রকল্পে, ট্যুইট মমতার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল