এই ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে আছে ২০৯২ ভোটে গত বিধানসভা ভোটে। এখানে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৫৯৩৬, তৃণমূলের ভোট ৩৮৪৪টি। এখানেই হাওয়া ঘোরাতে চাইছে শাসক দল। এখানে গুজরাতি ভোট আছে প্রায় ৭০০০, মারোয়াড়ী ভোট আছে প্রায় ২৫০০। বাংলাভাষী, গুজরাতি, পঞ্জাবি, মারওয়ারিদের সঙ্গে মুসলিম ভোটও রয়েছে৷ ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র যেন সবমিলিয়ে এক টুকরো ভারত৷ আর সেই কারণেই ভবানীপুরকে কেন্দ্র করে নিজেদের মতো করে ছক সাজাচ্ছে তৃণমূল- বিজেপি দু' পক্ষই৷।
advertisement
ইতিমধ্যেই গত সপ্তাহেই ভবানীপুরের বাঙালাভাষী নন এমন ভোটারদের ভোটারদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee Rally| Bhabanipur)। তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, 'ভবানীপুরে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যুগ যুগ ধরে বসবাস করেন৷ এখানে অনুগ্রহ করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করবেন না৷'
বিজেপির সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, 'ভবানীপুরে শুধু গুজরাতি নয়, মারওয়ারি, শিখ, মুসলিমরাও থাকেন৷ তাঁরা এই রাজ্য এবং এখানকার রাজনীতির স্বার্থেই ভোট দেবেন৷ তাঁরা যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন, সেরকম পরিবেশ তৈরি করতে হবে৷"ভবানীপুরে এই অবাঙালি ভোটাররাই বিজেপি-র বড় ভরসা৷ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনেও ৭০ এবং ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে মূলত এই অবাঙালি ভোটের জোরেই এগিয়ে ছিল বিজেপি৷ বাকি ছ'টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল তৃণমূল৷ এবারেও ভবানীপুরে অবাঙালি হিন্দু ভোটকেই টার্গেট করেছে বিজেপি৷ গুজরাতি, পাঞ্জাবি, মারওয়াড়ি, বিহারি সম্প্রদায়ের ভোটকে নিজেদের দিকে টানাই বিজেপি-র প্রাথমিক লক্ষ্য৷ আর এই ভোটে বড়সড় থাবা বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রেকর্ড ভোটে জেতাতে চায় তৃণমূল৷
আবার বিজেপি-ও এই অবাংলাভাষী ভোটকে টার্গেট করেই ভবানীপুরে নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে৷ তবে এই ওয়ার্ডে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারের জন্য বিশেষ দল গড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷